শিহাব অাহমেদ: লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল পাইলিং ও নদী শাসনকাজের উদ্বোধন করবেন। ১২ ডিসেম্বর শনিবার এর উদ্বোধন পরপর দুটি জনসভায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।
প্রধানমন্ত্রীর অাগমন ও অায়োজিত জনসভা উপলক্ষে অাজ জেলার সার্কিট হাউসে দুপুর অাড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বর্ধিত সভা করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাকির হোসেন।
এছাড়াও মুন্সিগঞ্জের পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ছাড়াও ঢাকা জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে দীকনির্দেশনা দেন সোহাগ-জাকির।
এসময় জেলার ৬টি থানা, কলেজ ও পৌর কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিজেদের মতামত তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন।
সভা শেষে বক্তব্যকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাকির হোসেন বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ কে অামরা বিক্রমপুর নামে চিনতাম। এ জেলার নিজস্ব ঐত্যিহ্য রয়েছে। যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু অাজ বাস্তবায়িত প্রায়, তা পরিপূর্ণ হয়ে গেলে এ জেলা নতুন মাইলফলক ছুবে। এ জেলার ঐত্যিহ্য অারও বাড়বে।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘যে কোন জনসভায় ৬৫ভাগ পর্যন্ত উপস্থিতি থাকে ছাত্রলীগের, সুতরাং অামি মনে করি অাসন্ন এই জনসভাকে ছাত্রলীগ তাদের নিজস্ব মেধা দিয়ে সফল করে তুলবে।’
পৌরসভায় বিএনপি’র অংশগ্রহন নিয়ে সোহাগ বলেন, ‘তারা জামায়াত কে নিয়ে জাতীয় নির্বাচন বয়কট করে বলেছিলো এ সরকারের অামলে নির্বাচনে যাবে না। অথচ এখন তারা বেহায়ার মত নির্বাচনে গেলো’
ছাত্রদল অাদর্শচ্যুত উল্লেখ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই প্রধান বলেন, ‘জিয়ার তো কোন অাদর্শ ছিলোনা, তাহলে ছাত্রদলে অাদর্শ থাকবে কিভাবে? জিয়া ছিলো একটা চোর’
বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ অাহম্মেদ পাভেল।