মুন্সিগঞ্জ, ২০ মে, ২০২২, আরাফাত রায়হান সাকিব (আমার বিক্রমপুর)
পদ্মা সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিলো গত বছরের ১০নভেম্বর। ৫মাস ১৯দিনের মাথায় গত ২৯এপ্রিল মূল সেতুর ৬দশমিক ১৫কিলোমিটার অংশে শেষ হয় কার্পেটিং। বাকি থাকে দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাপেটিংয়ের কাজ। সময়ের সাথে সে কাজেরও অগ্রগতি হতে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এতে বাকি থাকলো শুধু জাজিরা প্রান্তের সংযোগ সড়কের পিচ ঢালাই।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জাজিরা অংশেও শেষ হবে কাজ। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাওয়া প্রান্তের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ। জাজিরা প্রান্তেও কার্পেটিংয়ের কাজও এগুচ্ছে সমানতালে। সেতু অংশে বাকি ৩টি জয়েন্টের কার্পেটিং। কাজ শেষ হলে মূল সেতুর পর দুই পাড়ের সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজও পুরো পুরোপুরি শেষ হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হবে।
এদিকে সেতু জুড়ে চলছে পুরোধমে চলছে রোড মার্কিয়ের কাজ। গত বুধবার বিকালে সেতুর মাওয়া প্রান্তে মডিউল-২ এ শুরু হয় রোড মার্কিংয়ের কাজ। প্রথমদিনে ২শ মিটার অংশ ও গতকাল বৃহস্পতিবার মডিউল-২ এর ৭৫ভাগ অংশে মার্কিং করা হয় ।
এদিকে সেতুকে আলোকিত করতে বসানো ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হবে রোড মার্কিংয়ের কাজ। আর পহেলা জুনে সেতু আলোকিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। পরিকল্পনা মত কাজ হলে নির্ধারিত সময়েই পহেলা জুনে জ্বলে উঠবে বাতিগুলো।
খরস্রোতা পদ্মা নদীর উপর ৩০হাজার ১৯৩কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ২০১৪ সালে নির্মান শুরু হওয়া সেতুটি আসন্ন জুন মাসে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী দিন রাত সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। জুনে আমাদের টার্গেট, সে লক্ষ্যেই আমাদের কাজ চলছে।
