৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৯:৩৩
পদ্মাসেতুর না দেখা সৌন্দর্য্য
খবরটি শেয়ার করুন:

পদ্মার যে সৌন্দর্য্য সবচেয়ে মন কাড়বে তার নাম ‘নাইট ভিউ পদ্মা’। ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে নীলাভ আলো, রঙ্গিন বাতি, সোনালী আলোর স্থির হয়ে থাকা, সাদা পিলারে নীল আলোর ছটা, হাজার লাইটপোস্টের সারি থেকে বেরিয়ে আসা রূপালী আলো সব মিলিয়ে সে এক অদ্ভুত মোহনীয়তা। ঠিক এরকমই হবে পদ্মার সেতুর রাত।

দশমিনিট ধরে সেতু পার হতে শত শত আলোর রেখা এসে পড়বে যাত্রীর গায়ে, মুখে। কিন্তু ১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও এই আলোময় সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে। নদীর বুকে ভেসে কিংবা পাড়ে বসে।

পদ্মাপাড়ে যেসব সিটি হবে তার প্রতিটি ভবনের সব জানালা থেকে দেখা যাবে এই রূপ।

পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকার সার্ভিস এরিয়াগুলোতে নাইট ভিউ সম্পর্কে এমনটাই বলা হচ্ছে।

কেমন হতে পারে নাইট ভিউ তার ত্রিমাত্রিক ছবিও তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে দিনের আলোতে পদ্মার সৌন্দর্য্য কেমন হতে পারে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে থ্রি-ডি ভিউতে।

পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের প্রধান কর্তা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কবিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে এ বিষয়ে একটু বেশিই রোমান্টিক হতে দেখা যায়। তার ভাষায়, ভরা পূর্ণিমায় যখন মানুষ পদ্মাসেতু দিয়ে পার হবে তখন মোহনীয় সৌন্দর্য্য তাকে গিলে খাবে। ব্রিজের অদ্ভুত রূপে তাকে মনে করিয়ে দেবে গান আর কবিতা।

মন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, ‘মানুষ গুনগুনিয়ে গান গাইতে গাইতে পদ্মাসেতু পার হবে। সার্ভিস এরিয়া-৩ এর অফিস কক্ষে নজরে পরে এই তিন-মাত্রিক ‘নাইট ভিউ’। ছবিতেই যা এত সুন্দর! তার বাস্তব রূপে অবগাহন না করলেই
তবে ‘মিস’ হবে না। ‘মিসিং ফোল্ড’ পেরিয়ে পদ্মাসেতু এখন বাস্তবে দৃশ্যমান। পাইল চলে যাচ্ছে নদী তলদেশে। পিলার গড়ে উঠতে আর খুব বাকি নেই। পিলার শেষে স্প্যান বসালেই হয়ে যাবে পদ্মাসেতু। তখন সেই সেতুর দিনে হবে এক রূপ, রাতের রূপ থাকবে ভিন্ন।

কেউ কেউ বলছিলেন, অনেকে চিনতেই পারবে না। দিনে যারা এই সেতু পারি দেবেন তারাই যখন রাতে যাবেন, মনে করবেন কোনও এক ভিন্ন সেতু দিয়ে যাচ্ছেন।

ঢেউয়ে প্রমত্তা আর ইলিশের জন্য বিখ্যাত পদ্মা তখন আরও বিখ্যাত হবে তার রাতের দৃশ্যের কারণে। প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার মিশেলে পদ্মাসেতু হবে হবে আগামীর বাংলাদেশ উন্নয়নের সবচেয়ে অগ্রসর ধাপ ও উদাহরণ, এমনটা এখন দেখার অপেক্ষা মাত্র।

এখানে প্রকৃতির সৌর্ন্দয্য হবে চাঁদমাখা রূপ, ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ আর কৃত্রিমতা হবে ঢেউয়ের ভাঁজে রঙ্গীন নীল আর সোনালী আলোর খেলা। প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার মিশেলে যে আলোখেলা হবে তা দেখা যাবে ১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও।

পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বাংলানিউজকে সে কথাই বলছিলেন। তিনি বলেন, ৬ কিলোমিটারের বেশি লম্বা পদ্মাসেতু থেকে নদীতে নীল আলো পড়বে। নদীর ঢেউ হবে নীল বর্ণের। আর আলো ঝলমলে রূপ ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে দৃশ্যমান হবে।

কাদের জানান, পদ্মাসেতুর পাড়ে হংকং সাংহাইয়ের মত যেসব আধুনিক নগর গড়ে তোলা হবে সেসব নগরের প্রতিটি জানালা খুললে দেখা যাবে পদ্মার আলো ঝলমলে রূপ।

error: দুঃখিত!