পদ্মায় ফেরি ও লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অল্পের জন্য বেঁচে গেল প্রায় দেড়শ’ লঞ্চযাত্রী। তবে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয় জন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় এমভি পদ্মা-৩ নামের লঞ্চটির ৫/৬ জন যাত্রী নদীতে পড়ে গেলেও পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে শান্তি বেগম (২৫), শাহিদা বেগম (৪০) এবং মোবারককে (২৭) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তবে দুর্ঘটনা সম্পর্কে ফেরি ও লঞ্চ একে অপরকে দায়ী করছে।
মাওয়া নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, প্রায় দেড়শ’ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি চর জানাজাত ঘাট থেকে শিমুলিয়ায় আসছিল। পথে কাওড়াকান্দিগামী ফেরি রায়পুরার সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। এসময় লঞ্চটির কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। এতে তারা সামান্য আহত হলেও সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় যাত্রীরা।
লঞ্চ ও ফেরিটির বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
লঞ্চটির যাত্রীরা জানান, ফেরি ও লঞ্চ দুটি বিপরীত দিকে যাচ্ছিল। চালকদের ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি কাঠাঁলবাড়ি ঘাটে থামিয়ে আহত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন পাটুয়ারী বলেন, ‘ফেরি রায়পুরা বারবার সতর্ক সংকেত দেওয়ার পরও লঞ্চটি ফেরিটির ডান পাশ দিয়ে উঠিয়ে দেয়া হয়। এতে ফেরিটির মোট বা নোঙর করার যন্ত্র ভেঙে গেছে। অল্পের জন্য ফেরিতে থাকা ট্রাক নদীতে পরেনি। এসময় দুই যাত্রী নদীতে পরে গেলেও পেছনে থাকা সিবোর্ট তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তবে পদ্মা-৩ লঞ্চের মাস্টার আব্দুল খালেক দাবি করেছেন, ‘লঞ্চ সংকেত দেয়ার পরও ফেরিটি তা তোয়াক্কা করেনি। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’
এদিকে, এমভি পদ্মা-৩ লঞ্চটি রাত ৮টার দিকে মাওয়া ঘাটে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাওড়াকান্দি ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আল মাহমুদ। তিনি জানান, রাতে লঞ্চটি শিমুলিয়া ঘাটে আসলেও এর সম্মুখভাগ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, লঞ্চ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থল শিবচর থানা এলাকায়। সেখানেই এ ব্যাপারে মামলা হবে।