তারেক রহমানের ১০ম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সোমবার এক দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এখন জনাব তারেক রহমান নির্বাসিত। তাকে দেশে আমাদের মাঝে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ তাকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সারানোর জন্য এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর ৭ মার্চ তারেককে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
জামিনে মুক্তির পর ডজন খানেক মামলা মাথায় নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় গত কাউন্সিলেই বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে আসেন তারেক, যাকে ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি মনে করেন কর্মীরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিকে একেবারে রাজনীতি শূন্য করে দেওয়া, পরীক্ষিত রাজনীতিকদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ১/১১ এর ওই চক্রান্ত হয়েছিল। যারা তারেক রহমানে বিরুদ্ধে একইভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল।”
তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “তিনি তথাকথিত চিরায়িত রাজনীতির পথে না গিয়ে নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। সেই কারণে তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছিল।”
তারেক রহমান অসুস্থ অবস্থায় লন্ডনে আছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা প্রতি মুহূর্তে প্রত্যাশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
“আজকের যে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র তাকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারেক রহমান সাহেব আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন।”
অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, রফিক শিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল কাদের ভুঁইয়া, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন ও ছাত্রদল নেতা এজমল হোসেন পাইলট উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিলের পর মিষ্টি বিতরণের সময়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে হাতাহাতি হলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।