তনু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে শিগগির ভালো খবর দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
শনিবার র্যাবের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘র্যাব ঘটনার পর থেকেই ছায়া তদন্ত করছে। শিগগির হয়তো ভালো খবর দিতে পারবো আশা করছি।’
র্যাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন,বারো বছর আগে স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল র্যাব। দেশের মানুষের সহযোগিতায় এতো পথ পারিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে র্যাব। এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই, আশা করছি ভবিষ্যতেও তোদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
র্যাবের গোয়েন্দা সক্ষমতা সম্পর্কে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই র্যাব জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে কাজ করছে। ক্রিমিনালদের শনাক্ত ও জঙ্গিবাদ দমনে গোয়েন্দা তৎপরতার বিকল্প নেই। তবে র্যাব সব ঘটনার তদন্ত করে না। শুধু রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক অর্পিত মামলার তদন্ত করা হয়। তবে এর সংখ্যাও কম নয়। এখন পর্যন্ত র্যাবের তদন্ত সন্তোষজনক।
র্যাবকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বেনজীর আহমেদ বলেন, নারী, বৃদ্ধ ও শিশু নির্বিশেষে দেশের সব জনগণ দিনের যে কোনো সময় নিরাপত্তা নিয়ে চলাচল করতে পারবে, আমরা সবার সহযোগিতায় এমন সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব বাহিনীর নির্বাচিত সদস্যরা র্যাবে কাজ করছেন। র্যাবের রয়েছে দেশের সর্বাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব। তৈরি করা হয়েছে ক্রিমিনাল ডেটাবেইজ। সম্প্রতি জেল ডেটাবেইজ তৈরির কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
র্যাবের ডিজি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের কোনো বর্ডার নাই। আমাদের প্রতিবেশী দেশ কিংবা দূর প্রতিবেশী দেশ সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে আক্রান্ত হয়, তখন আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা কৌশল ও ব্যবস্থাপনা হালনাগাদ করি।’
চলমান সংস্কার কার্যক্রম আরও বেগবান করা এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জনগণের সঙ্গে আরও কার্যকর সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সে সময় র্যাবে সব ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।