মুন্সিগঞ্জ, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, আপন সরদার (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া-হাসাইল ও কামারখাড়া-আদাবাড়ি সড়কের ভাঙ্গনিয়া এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়া জোড়া ব্রীজের এপ্রোচ ধ্বসের ৬ মাস পেরিয়ে গেলোও এখনো সংস্কার হয়নি।
ফলে টংগিবাড়ী উপজেলার দক্ষিন অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গেলো জুলাই মাসে বন্যার তীব্র স্রোতে পদ্মা নদী সংলগ্ন ভাঙ্গনিয়া সংযোগ সড়কের দুটি ব্রীজের এপ্রোচ সড়কের মাটি ধ্বসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার কারনে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ঐ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধা সহ প্রায় ২০ টি গ্রামের মানুষের সাথে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর ও ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাঙুনিয়া এলাকার একটি ব্রিজের দুই পাশের ও অপর আর একটি ব্রিজের একপাশের এপ্রোচ সংযোগ সড়কের মাটি ধসে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রোডে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম বিপাকে পরেছে ওই এলাকার লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত প্রায় ১০ বছর আগে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারনে নদী সংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার ব্রীজ দুটির গোড়ার মাটি ধ্বসে গেলে এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যেগে ব্রীজ দুটির নিচে দেয়াল নির্মাণ করে স্রোত প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এ বছর বন্যার কারনে ওই ব্রীজ দুটি যে রাস্তায় অবস্থিত সে রাস্তার ভাঙ্গনিয়া নামক স্থানে তিব্র স্রোতের কারনে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। পরে ওই ব্রীজ দুটির নিচের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে টংগিবাড়ী উপজেলা প্রশাসন।
এতে ব্রীজের নিচ দিয়ে তীব্র স্রোত প্রবেশ করায় ব্রীজ দুটির এপ্রোচ ভেঙ্গে যায় বলে জানান এলাকাবাসী। এ সময় প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনাকে দায়ী করেন তারা। জরুরি ভিত্তিতে এপ্রোচ সংযোগ সড়কের দ্রুত মাটি ভরাট করে জনদুর্ভোগ লাঘবে জন্য জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসী দাবী জানিয়ে আসলেও ৬ মাসে তা সংস্কার হয়নি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হালদার এর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন রাজু জানান, চলাচলের জন্য সংযোগ সড়কটিতে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, রাস্তাটির পুরো কাজ সম্পূর্ণ করতে আরো ৪-৫ মাস সময় লাগতে পারে।