মুন্সিগঞ্জ, ১৪ জুন, ২০২০, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার টংগিবাড়ী-হাসাইল সংযোগ সড়কটি যেন জলাশয়ে পরিনত হয়েছে। নির্মাণাধীন রাস্তাটি সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৪ মাস যাবৎ খুড়ে রাখায় স্থানে স্থানে গভির গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সাতুল্লা হতে টংগিবাড়ী বাজার পর্যন্ত অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানে স্থানে এত বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে বৃষ্টি এলেই ওই স্থানগুলোকে জলাশয় বলে মনে হয়।
বিশেষ করে টংগিবাড়ী মাঝি বাড়ির সামনের স্থানে এত বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে একটু বৃষ্টিতেই ওই স্থানটি জলাশয়ের মতো মনে হয়। বৃষ্টি না হলেও গর্তের গভীরতার কারনে ওই স্থানে পানি জমে থাকে।
ওই স্থান দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের সময় গাড়ির অর্ধেকাংশ পানিতে তলিয়ে যাত্রীদের শরীর ভিজে যায়।
হাসাইল -টংগিবাড়ী যাতায়াতে এ অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীদের দির্ঘদিন যাবৎ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
টংগিবাড়ী উপজেলার ধীপুর, পাঁচগাঁও, হাসাইল, কামারখাড়া ইউনিয়নসহ লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ও শরিয়তপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার যাত্রীরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।
৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি প্রায় তিন বছর খানাখন্দে থাকার পর ৭-৮ মাস আগে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে খুব ধীরগতিতে সে সময় নির্মানকাজ চলায় এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
করোনার পাদূর্ভাব দেখা দিলে এ রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলার অন্যান্য উন্নয়ন কাজ শুরু করা হলেও এ রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পথে যাতায়াতকারীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর রাস্তটির হাসাইল হতে সাতুল্লা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিাটার রাস্তার কাজ শুধু সম্পন্ন করা হয়েছে। সাতুল্লা হতে গনাইসার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ৪ মাস ধরে খনন করে এক পাশে ইট ফেলে রাখায় শুধু অর্ধেক রাস্তা দিয়ে যানচলাচল করছে। ওই অংশটি মেরামত না করায় ঐ স্থান বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
গনাইসার হতে টংগিবাড়ী পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ৪ মাস ধরে খুড়ে রাখায় অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানান, এ রাস্তার উপর দিয়ে কোন গাড়ি যেতে চায়না ফলে গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে হয়। কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
গাড়ি চালক হুমায়ূন কবির, আরিফ জানান, এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালালে গাড়ির টায়ার স্পিংসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়। তাই সচরাচর আমরা এই রাস্তায় গাড়ি চালাই না।
টংগিবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমরা ঠিকাদারকে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য কয়েকবার সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছি। করোনার কারণে লোকবলের সংকট থাকায় ঠিকাদারের কাজটি করতে কিছুটি বিলম্ব হচ্ছে অচিরেই কাজটি শুরু করা হবে।
