১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সন্ধ্যা ৭:৫২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
ছাত্রলীগের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে দুইবারের মেয়র- এবার হলেন এমপি
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ জানুয়ারি ২০২৪, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

এবারের নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন পৌরসভার মেয়র পদ ছেড়ে এসে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়া ফয়সাল বিপ্লব। রাজনীতি শুরু করেছিলেন ছাত্রলীগের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে, এরপর দুইবারের মেয়র- এবার হলেন এমপি।

এই আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মৃণাল কান্তি দাসের নৌকা প্রতীকের ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোটের বিপরীতে কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭০৫ভোট। ৬ হাজার ৮৭২ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

গতকাল ৭ জানুয়ারি রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুজাফর রিপন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের বাঁধভাঙা শুভেচ্ছায় সিক্ত হন ফয়সাল বিপ্লব। আজও দিনভর শহরের মধ্যকোটগাঁও এলাকায় তার বাসায় ছিলো নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের উপচেপড়া ভিড়। জেলা শহরের আশপাশের ইউনিয়নগুলো বিশেষ করে চরাঞ্চল থেকে কেউ ফুলের তোড়া, কেউ মালা নিয়ে হাজির হন শুভেচ্ছা জানাতে।

ঢাকা মহানগরে ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি শুরু ফয়সাল বিপ্লবের। এরপর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ছিলেন যুবলীগের নানক-আজম কমিটির সদস্য। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের (নাছিম-পঙ্কজ) কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য হন মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।

নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র ফয়সাল বিপ্লব পৌরসভার মধ্যকোটগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আইন অনুযায়ী গেল ২৮ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন তিনি। প্রথমে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে আওয়ামী লীগ এখানে মৃণাল কান্তি দাসকে প্রার্থী দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ফয়সাল। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন ‘কাঁচি’ প্রতীক পান তিনি। এরপর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ফেইসবুকে আমরা
ইউটিউবে আমরা
error: দুঃখিত!