ঘূর্নিঝড় ফনির জন্য আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট চালাতে গিয়ে ট্রলারের সঙ্গে সংর্ঘষে ডুবে গিয়ে স্পীডবোটের এক যাত্রী নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় এক শিশু নিখোঁজ ও অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। এদিকে দূর্ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে রাতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৯ স্পিডবোট চালককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার পরও বৃহস্পতিবার সারাদিন ও রাতে স্পিডবোট চলাচল করলেও দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত নির্বিকার ছিল বিআইডব্লিউটিএ।
জানা যায়, ঘূর্নিঝড় ফনির প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।
লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ থাকলেও শিমুলিয়া পার থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্পীডবোট চলাচল করতে দেখা যায়। সন্ধ্যা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রীর চাপ আরো বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেয় স্পিডবোট চালকরা।
রাত সাড়ে ৮ টার দিক শিমুলিয়া ঘাট থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে আল আমিন নামে এক চালক কাঠালবাড়ি ঘাটে রওনা করে। স্পিডবোটটি কাঠালবাড়ি ৪নং ফেরি ঘাট এলাকায় আসলে বিপরীতমুখী ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে স্পিডবোটটি ডুবে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ যাত্রীকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মো. মুরাদ (২৫) নামের এক যাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এছাড়াও আমির হামজা (৬) নামের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ আমিরের মা, বাবা ও ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নিহত মুরাদ ঢাকার বাড্ডায় খিলবাড়ির টেক এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। তার শশুর বাড়ি শিবচরের নিলখী।
নিখোঁজ আমির হামজার মামা কামরুল হোসেন বলেন, আমার বোন, জামাই ও ২ ভাগিনা নিয়ে আমাদের বাড়ি আসছিল।
স্পিডবোট ডুবিতে বোন জামাই ও বড় ভাগিনা গুরুতর আহত ছোট ভাগিনা নিখোঁজ রয়েছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আদনান বলেন, মুরাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার পেটের আঘাতটি গুরুতর ছিল। এছাড়া আরো ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।