১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | দুপুর ১২:২৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
গজারিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে লাভ কি?
খবরটি শেয়ার করুন:

আগামী মাসের ৩১ তারিখে মুন্সিগঞ্জের সবকয়টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কমতি নেই। তবে বর্তমানে সবচাইতে বেশি আলোচনা যে উপজেলাকে ঘিড়ে সেটি হচ্ছে গজারিয়া।

মানচিত্রে গজারিয়া উপজেলা।

১৩১ বর্গ কি.মি.খ অথবা ৫১ বর্গ মাইল আয়তনের গজারিয়া উপজেলায় ০৮ টি ইউনিয়ন। যেখানে গ্রামের সংখ্যা ১৩৩টি। গজারিয়ায় মসজিদ রয়েছে ৩৪৯টি। ৩৪১ জন মুক্তিযোদ্ধা গজারিয়া থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহন করেন। এছাড়া বিধবা ভাতা গ্রহন করেন ১,১৭৬ জন এবং প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহন করেন ৩৬৭ জন।

গজারিয়া উপজেলার উত্তরে সোনারগাঁও ও মেঘনা উপজেলা, দক্ষিনে চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলা, পূর্বে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা।

গজারিয়ার চারদিকে রয়েছে মেঘনা নদী। শীতলক্ষা ও বুড়িগঙ্গার মিলিত ধারা মেঘনা নদীর সাথে গজারিয়ার পশ্চিম পাশে মিশেছে।

গজারিয়া উপজেলাটি যেসব কারনে আলোচিত তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে  বালু মহালের নাম। এখানে নদীর স্রোতের সাথে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বালু জমা হয় যা নিজ পদ্ধতির মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। এই বালু মহালকে ঘিড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলে। চলে দ্বন্দ-বিবাদ। বালু মহালের ইজারা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দিতায় চলে আসেন স্থানীয় রাজনীতিকরা। যাদের নেতৃত্বে থাকেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

এরপরে বিভিন্ন বাজারের ইজারা নিয়েও চলে প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দিতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ভবেরচর বাজার। এ বাজারের ইজারা মূল্য ৩২ লক্ষ টাকা।

এছাড়া গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়নে ৩৮১ কোটি ব্যায়ে ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পপার্ক। এসব প্রজেক্ট ঘিড়ে স্থানীয় একটি মহলের আর্থিক যোগসাজশ থাকেই। আর এসবকিছুর কেন্দ্রে থাকেন জনপ্রতিনিধিরাই। সেক্ষেত্রেও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিশেষ একটি বলয় থাকে বলে একটি মহলের দাবি।

এছাড়াও গজারিয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বিস্কুট, টিস্যু, কাগজ উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরি, সূতা উঃপাদনকারী ফ্যাক্টরি ইত্যাদি রয়েছে। এসব শিল্পকারথানায় স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ না থাকলেও নিজেদের সুবিধা আদায় করে নেন জনপ্রতিনিধিরা। তারা বিভিন্ন উপায়ে এসব শিল্পকারখানার উপর তাদের চাপ অব্যাহত রাখেন। শিল্পকারখানার মালিকরাও নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে জনপ্রতিনিধিদের সাথে আপোস করেন। তাদের বিভিন্ন কাজের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে খুশি রাখেন। এসব কাজ পরে ভাগবাটোয়ারা হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। যাদের নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা ছিলো তারাই অগ্রাধিকার পান এক্ষেত্রে।

অর্থাৎ গজারিয়ার উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি মূল্যবান হয়ে ওঠার পেছনে বড় আকারের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের বিষয়টি সরাসরি জড়িত। আর এ কারনেই এই উপজেলা নির্বাচনকে ঘিড়ে গণমাধ্যম কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটার পর্যন্ত এত কৌতুহল।

 

error: দুঃখিত!