মুন্সিগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
চাকরি বাঁচাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ঢল দেখা গেছে।
তবে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিভিন্ন যানবাহন পাল্টে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ফেরিতে নদী পার হতে দেখেছি। তিনটি ফেরিতে মানুষের চাপ বেশী ছিল। সব মিলিয়ে আনুমানিক দুই হাজার শ্রমজীবী মানুষ নদী পার হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রয়েছে। তারা তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফেরিতে তুলে দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে কোনো গনপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা।
বেশী ভাড়ায় তারা মিশুক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন পিকআপ ভাড়া করে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, একপ্রেসওয়েতে কোন ছোট পরিবহন চলাচলের অনুমতি আমরা দেইনা। তাই, ছোট বাহনে করে অনেক রাস্তা ঘুরে তারা ঢাকার বাবু বাজারের দিকে যায়। সেখান থেকে পরিবহন পাল্টে গন্তব্যে রওনা দেন শ্রমজীবী মানুষরা। এক্ষেত্রে তাদের বেশী ভাড়াও গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
এদিকে, দিনের বেলায় দুই তিনটি ফেরি চললেও এখন রাতের বেলায় চলে ৬ টি ফেরি। কারন, যাত্রীবাহী কোন বাস নেই ফেরি পারাপারের জন্য। এখন সব পন্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার করেছি। দিনের চেয়ে রাতেই ওসব গাড়ির চাপ বেশী থাকে।
তাছাড়া, এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশে যাওয়ার পরিবহন তেমন নেই। এপাশে ঘাট একেবারে ফাঁকা। দুই একটি জরুরি সেবার গাড়ি এলেই ফেরিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।