মুন্সিগঞ্জ, ১২ এপ্রিল, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
এতে নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলার পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (১২ এপ্রিল) সকালে ‘আমার বিক্রমপুর’ এর সাথে একান্ত আলাপকালে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশনার কথা জানান সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস।
মৃণাল কান্তি দাস নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলো হলো—
১. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে মুন্সিগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে করোনাভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি করবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য দিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে— এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন। সঠিক তথ্য দিয়ে মানুষের মনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করবেন এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করবেন।
২. ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ওইসব ব্যক্তির তথ্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন। প্রয়োজনে সরকার ও জেলা প্রশাসন ঘোষিত হটলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
৩. করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে সব ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং এসব অপকর্ম প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।
৪. বাংলাদেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট নেই। বাজারে গুজব ছড়িয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ানোর অপতৎপরতা ও মজুতদারির বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান নেবেন। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
৫. করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এবং নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সচেতন করবেন।
৬. কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
৭. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য, তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ এই সংকট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এই ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে ধৈর্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।