মুন্সিগঞ্জ, ৩০ নভেম্বর, ২০২২, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
২০২২ সালের এসএসসির ফলাফলে মুন্সিগঞ্জে শীর্ষ দশেও নেই জেলার শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।
গত কয়েকবছরের তুলনায় এবছর প্রতিষ্ঠানটিতে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।
প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবছর ২৫৩জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত ছিলো। অকৃতকার্য হয়েছে ১৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে- ৬৫ জন। পাসের হার ৯২.৯৩%।
ফলাফল বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ স্বীকার করে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, ‘আমি সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। এরপর বেশি সময় পাইনি। ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল এই ৩ মাস স্টুডেন্টরা আমার হাতে ছিলো। এই ৩ মাসে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মুন্সিগঞ্জ জেলায় এ বছরের এসএসসি পরিক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী সেরা ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সদর উপজেলায় ১টি, গজারিয়া উপজেলায় ১টি, টংগিবাড়ী উপজেলায় ১টি, শ্রীনগর ১টি, সিরাজদিখান ৩টি ও লৌহজং উপজেলার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. বেনজীর আহম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তালিকায় প্রথম অবস্থানেই সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর উচ্চ বিদ্যালয়। এবছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫২জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার ৯৯.৩৪%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯জন।
২য় অবস্থানে রয়েছে লৌহজং উপজেলার হলদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৭.৮১% , জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬জন।
৩য় মুন্সিগঞ্জ সদরের এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৭.১৫% , জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬জন।
চতুর্থ অবস্থানে লৌহজং উপজেলার কাজীর পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৫.৭৮% জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন।
৫ম শ্রীনগর উপজেলার হোগলাগাঁও আবুল হাসেম উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৫.৭১% জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন।
ষষ্ঠ অবস্থানে সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৬.৫৭%, উর্ত্তীন হয়েছে ১৬৯জন , জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩জন।
সপ্তম অবস্থানে সিরাজদিখান উপজেলার হাজী আবু বকর সিদ্দিক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৫.১২%, উর্ত্তীন হয়েছে ৩৯জন , জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন।
অষ্টম অবস্থানে টংগিবাড়ী উপজেলার টংগিবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৪.৭৯%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন।
নবম গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৪.৫৮%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪জন।
দশম অবস্থানে রয়েছে, লৌহজং উপজেলার কলমা এলকে উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৪.৫৫%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন।