২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৪:১৯
এসএসসির প্রথম দিনে মুন্সিগঞ্জে অনুপস্থিত ১৬৯ শিক্ষার্থী
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১০ এপ্রিল ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

সারাদেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ (১০ এপ্রিল)। মুন্সিগঞ্জে এবছর সর্বমোট ১৪ হাজার ৭৪১ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে রেজিষ্ট্রেশন করলেও প্রথম দিনের পরীক্ষায় উপস্থিত হন ১৪ হাজার ৫৭২ জন।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এবছর মুন্সিগঞ্জে ৩০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১৭টি, দাখিল পরীক্ষার ৫টি ও ভোকেশনাল পরীক্ষার কেন্দ্র ৮টি। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের জন্য রেজিষ্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৪৮৭ জন। ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১৬১ জন ও দাখিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৩ জন।

এর বাইরে গত বছর বিভিন্ন পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও এবছর এসএসসিতে অংশ নেবেন। সবমিলিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩২জন।

শিক্ষা অফিসার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র, ভোকেশনালের বাংলা-২ ও দাখিলের কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা ছিলো। এই পরীক্ষায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১২২ জন, দাখিল পরীক্ষার্থী ৩১ জন ও ১৬ জন ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। তবে প্রথম দিন জেলায় কোন শিক্ষার্থী বহিস্কার হননি।

এদিকে আজ সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, কাজী কমর উদ্দিন গভ. ইনস্টিটিউট, আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্রমোহন গভ. গার্লস হাইস্কুল এর কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেন ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।

এসময় তার সাথে ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদুর রহমান খোন্দকার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান।

৯ কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা

মুন্সিগঞ্জ সদরে অবস্থিত ৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা পূর্ব থেকে ১ ঘন্টা পরবর্তী সময় পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক। উল্লেখিত সময় কেন্দ্রে কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, কোন সমাবেশ, লাঠি বা অস্ত্র-সস্ত্র ইত্যাদি বহন এবং স্পিকার বা মাইক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কেন্দ্রগুলো হলো- প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পঞ্চসার দারুস সুন্নাত ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কাজী কমর উদ্দিন গভ: ইনস্টিটিউশন, আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্রমোহন গভ. গার্লস হাই স্কুল, বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মুন্সিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।

২০২৫ সালের এসএসসির কোন পরীক্ষা কোন দিন—

১৫ এপ্রিল: ইংরেজি প্রথম পত্র

১৭ এপ্রিল: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র

২১ এপ্রিল: গণিত

২২ এপ্রিল: ধর্ম (ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা)

২৩ এপ্রিল: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি

২৪ এপ্রিল: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান/ কৃষিশিক্ষা/ সংগীত/ আরবি/ সংস্কৃত/ পালি/ শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া/ চারু ও কারুকলা

২৭ এপ্রিল: পদার্থবিজ্ঞান/ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা/ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং

২৯ এপ্রিল: রসায়ন (তত্ত্বীয়)/পৌরনীতি ও নাগরিকতা/ ব্যবসায় উদ্যোগ

৩০ এপ্রিল: ভূগোল ও পরিবেশ

৪ মে: বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়)

৬ মে: জীববিজ্ঞান/অর্থনীতি

৭ মে: হিসাববিজ্ঞান

৮ মে: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

১৩ মে: বাংলা প্রথম ২য় পত্র/ সহজ বাংলা–২য় পত্র

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে;

২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;

৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;

৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে;

৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে;

৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;

৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে;

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;

৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;

১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না;

১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে;

১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;

১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

error: দুঃখিত!