শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ঈদে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে ঈদের আগের ৩দিন ও পড়ে ৩দিন পণ্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।
এছাড়া ছনবাড়ি হতে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত ১০ কি.মি. পথে বাস ঘোড়ানো (ইউটার্ণ) নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান। মুন্সিগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মনির হোসেন, নৌ পুলিশ মাওয়া আই সি সরজিত কুমার ঘোষ, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মোঃ খালিদ নেওয়াজ , লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনিচুর রহমান , মাওয়া ট্রাফিক টি আই মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শেখ জামান, সাংবাদিক বৃন্দ বাস মালিক সমিতি, কোস্টগার্ড, লঞ্চ মালিক সমিতিসহ ঘাট সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারা ও প্রতিনিধি।
লৌহজংয়ের ইউএনও মো. মনির হোসেন জানান, ঈদে দক্ষিণ বঙ্গের যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ফেরিসহ সকল নৌযান পারাপার, বাস চলাচল ও যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যানজট এড়াতে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ঈদে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে ঈদের আগের ৩দিন ও পড়ে ৩দিন পণ্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হবে ও ফেরিতে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাকসহ সকল ধরণের ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হবে। অতিজরুরী ছাড়া কোন ট্রাক পার হতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ১০ কি.মি. দূরে শ্রীনগর উপজেলার ছন বাড়িতে এসব ট্রাক আটকে দেয়া হবে। তাছাড়া ছনবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত এ দীর্ঘপথে কোন যাত্রীবাহী বাসকে পথিমধ্যে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ঢাকায় ফিরে যাবার জন্য বাস ইউটার্ণ বা ঘুরাতে দেয়া হবে না। সকল বাসকে ঘাটে গিয়ে ঘুরে ঢাকায় যেতে হবে নতুবা ইউটার্ণ-এর ফলে রাস্তায় যানজট লেগে যায় এবং একই সাথে যাত্রীদের দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৫০ জন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি আনছার ও কমিউনিটি পুলিশ, স্কাউট ছাড়াও র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।