৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সন্ধ্যা ৭:৫৩
আত্মঘাতী সংঘাত যেন আর না হয়: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী
খবরটি শেয়ার করুন:

বিদ্রোহের মতো আত্মঘাতী সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস-২০১৫ এর অনুষ্ঠানে এই নির্দেশনা দেন।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই পিলখানায় বিডিআর বাহিনীতে বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে। ওই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন প্রাণ হারান।

রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের পর দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি খোলনলচে বদলে দেওয়া হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বাহিনীর নাম বদলে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পোশাকও পরিবর্তিত হয়।

বিদ্রোহের ওই ঘটনাটিকে ইতিহাসের একটি ‘কালো অধ্যায়’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, “সে সময় সরকার গঠনের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আমাকে মোকাবেলা করতে হয়েছিল।

“আপনাদের সম্মিলিত সহযোগিতায় সেদিনের সঙ্কটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলাম।”

বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পৃক্ত উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সদস্যদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে এই বাহিনী এখন সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

“শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি আমরা। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমে এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সদা সতর্ক থাকবেন, ভবিষ্যতে কখনও এমন আত্মঘাতী সংঘাত যেন সৃষ্টি না হয়।”

সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কাজ করার এবং মানুষের আস্থা অর্জনের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বাহিনীর ১৭ জন সদস্যের শাহাদাত বরণের ঘটনার উল্লেখ করে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাহিনীর ১২ হাজার বাঙালি সদস্যের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজিবি আগের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা দেখিয়েছে।

উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিজিবিকে একটি দক্ষ, চৌকস, কৌশলী ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সকালে অনুষ্ঠানস্থলে এসে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। তিনি অনুষ্ঠানে বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৫৬ জনকে পদক প্রদান করেন।

এর পরে প্রধানমন্ত্রী ট্রিক ড্রিল ও ডগ ড্রিল প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

কুচকাওয়াজ শেষে চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও ও খাগড়াছড়িতে নবনির্মিত ৩টি ৫০ শয্যার বর্ডার গার্ড হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং সীমান্ত ব্যাংকের লোগো উন্মোচন করেন।

error: দুঃখিত!