মুন্সিগঞ্জ, ২৪ এপ্রিল, ২০২১, নাজমুল আহমেদ শাওন (আমার বিক্রমপুর)
চোখের সামনে আগুনে পুড়ে গেছে সারাজীবনের কষ্টের টাকায় গড়ে তোলা একমাত্র ঘড়টি। আগুনে যখন সবকিছু পুড়ে শেষ তখনও চোখের সামনে জ্বলছিলো ২০ টাকা, ১০ টাকা পাঁচশো ও হাজার টাকার জমানো নোটগুলি।
পোড়া ঘরের সামনে দাড়িয়ে নির্বাক বিলাপ করছিলেন মুন্সিগঞ্জের সাবেক সরকারি কর্মচারীর হাবিবুর রহমান (৬৫)। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রেকর্ড রুমের সাবেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে তিনি অবসরে যান।
সকালের আগুনে পুড়ে গেছে তাঁর সংসার। স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে এই ঘরেই থাকতেন তিনি। এখন কোথায় যাবেন দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। সকালে রান্না বসিয়ে বাইরে জামা কাপড় শুকোতে দিয়েছিলেন হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। ঠিক তখনই ভাঙতে শুরু করে তার সংসার। রান্নাঘরে লেগে যায় আগুন।
বাকরুদ্ধ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী পারভীন বেগম জানান, আমার স্বামীর সারাজীবনের কষ্টের টাকা ছিলো এগুলো। সে ব্যাংকে টাকা রাখতে চাইতেন না। তিনি মনে করতেন ব্যাংকে টাকা রাখলে লুট হয়ে যাবে। তাই বাড়িতেই নগদ টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। কিন্তু আজ আমাদের ঘড় গেলো, টাকাও গেলো। পুরো সংসারটাই তছনছ হয়ে গেলো।
তিনি জানান, আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হলে তারা খুব দ্রুত আসলেও সড়ক ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আগুন নেভাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ততক্ষণে ক্ষতি হয়ে যায় অন্তত ১০ লাখ টাকার সম্পদ। পুড়ে যায় নগদ ৩ লক্ষ টাকা।
আরও পড়তে পারেন: মুন্সিগঞ্জ সদরে অগ্নিকান্ডে একটি ঘর পুড়ে ছাই, নগদ টাকা সহ ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টা’র সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়তে পারেন: মুন্সিগঞ্জে আগুনে ঘর পুড়ে ছাই, অক্ষত কোরআন শরীফ