মোজাম্মেল হোসেন সজলঃ গত দুইদিনের বৈরি আবহাওয়ায় আলুর জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বীজতলা পচে যাওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা দিশেহারা।
শনি ও রোববারের টানা বর্ষণে মুন্সিগঞ্জে ছয়টি উপজেলার কয়েকশ’ হেক্টর জমিতে রোপণ করা আলু বীজ পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
এইসব বীজতলার আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
গত বছর আলুতে লোকসানের পর এই বছর একবুক আশা নিয়ে কৃষকেরা ধারদেনা করে আলুবীজ রোপণ শুরু করেছেন।
কিন্তু আলু বীজ রোপণের শুরুতেই দুইদিনের টানা বৃষ্টি তাদের সেই স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মাঠ পর্যায়ের জরীপে গত তিনদিনে ১ হাজার ১১৫ হেক্টর আলুর বীজতলা বৃষ্টির পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে রোপণ করা আলুবীজের তলা খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
আলু মুন্সিগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল। গত বছর মুন্সিগঞ্জের কৃষকেরা আলুর ন্যায্যমূল্য পায়নি। অধিকাংশ কৃষক কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া মিটাতে না পেরে তাদের আলু কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দিয়ে দেন।
এরপর চলতি মৌসুমে কৃষকেরা ধারদেনা ও লগ্নি নিয়ে লাভের আশায় আবার আলু বীজ রোপণ শুরু করেন। কিন্তু আলু বীজ রোপণের শুরুতেই তারা আবার বাঁধাগ্রস্ত হন। রোপণ করা অধিকাংশ আলুর বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক জমিতে আবার নতুন করে আলুর আবাদ করারও আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, এই বছর তারা ধারদেনা করে আলু বীজ রোপণ করেছেন। বৃষ্টির কারণে এইবার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেলে বাড়িঘর ছাড়তে হবে, অথবা জমিজমা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে তাদের সহযোগিতা করার দাবি করেছেন।
মুন্সিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, আবার বৃষ্টি হলে আলুর বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।