মুন্সিগঞ্জ, ২ জুন, ২০২০, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আটক হয়ে জেল খেটে বের হয়ে এসে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। ঐ নেতার চাচাতো ভাই আরেক আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ খান তিনিও এর আগে পুলিশের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আলোচনায় আসেন।
মঙ্গলবার (২ জুন) মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে টংগিবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং-টংগিবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান কবির খান। যিনি গত ১৫ মে তারিখে পুলিশ মেরে জেলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে জেল খেটে বের হয়ে আসা টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান কবির খান টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলাটিকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে আখ্যা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদার ভূতু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ বারেক, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাহিদ খান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত খান রুবেল, সোনারং-টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিটন শেখ সহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন ‘আমার বিক্রমপুর’ বলেন, ‘উনি পুলিশকে অন্যায়ভাবে মেরেছে, প্রাথমিক তদন্তে এটা প্রমাণিত হয়েছে। উনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উনি জেল খেটেছেন। এখন উনি সেই মামলা থেকে নিজেকে বাচাঁনোর জন্য বিভিন্ন মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।’
ওসি বলেন, ‘উনি এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। উনি পুলিশকে মেরেছেন তাই উনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
ওসি শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন আরও বলেন, ‘সাড়ে ৪ বছর আগে তার পরিবারের আরেক সদস্য নাহিদ খান পুলিশের উপর গায়ে হাত তোলে। তার কোন পদক্ষেপ না হওয়ায় উনারা আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। উনারা পুলিশ মারার জন্য প্রস্তুত থাকেন। উনারা ভাবেন পুলিশ মারলে কিছু হয় না।’