মুন্সিগঞ্জ, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচরে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস সমর্থক ও কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের সাথে বিরোধের জেরে এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।
কার্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লোকমান হোসেন দাবি করেন, ফয়সাল বিপ্লব নিজে কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফয়সাল বিপ্লব বলেছেন, পাশে আমার নির্বাচনী প্রচারণার একটি পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চলছিলো। কার্যালয় থেকে আমার প্রচারণাকে লক্ষ্য করে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে আমি গিয়ে তাদের শুধু সাউন্ড কমাতে বলেছি। আমার বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা।
কার্যালয়টির ভেতরে থাকা নৌকা প্রার্থীর সমর্থক এস এম কিবরিয়া অভিযোগ করে বলেন, আনুমানিক দুপুর তিনটা বিশ মিনিট, অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জনসংযোগে ব্যস্ত। কার্যালয়ে তখন আমরা মাত্র তিনজন ছিলাম। মাইকম্যান সাগর সাউন্ড বক্সে নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ করে গজারিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা সরকার আঁখির ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক মিলন সরকার কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে আমাদের গালমন্দ ও মারধর শুরু করে। এরপর আরো কয়েকজন আসে তাদের মধ্যে একজন পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয়। এদের মধ্যে কিছু লোক কার্যালয়ের আসবাবপত্র, মাইক ও সাউন্ডবক্স ভাঙচুর করে জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিচে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবসহ আরো কিছু নেতাকর্মী কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকেন এসময় তারা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস এবং আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। হামলার খবর পেয়ে চার দিক থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ছুটি আসলে তারা চলে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ভাঙচুরের খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোন প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ আহত হয়েছে বলে জানতে পারিনি। থানায় কোন অভিযোগ পড়েনি।