১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১০:৩৪
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে থানায় আগু.ন-লু.টপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের হবে- পুলিশ সুপার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ সদর ও টংগিবাড়ী থানা, শহরের সুপারমার্কেটে অবস্থিত ট্রাফিক ও সদর পুলিশ ফাঁড়ি কার্যালয়ে আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন জেলার নতুন পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার। এছাড়া ওই সভায় পুলিশ সুপার জানান, থানা থেকে লুট হওয়া ৩১টি সরকারি অস্ত্র ও ৮-৯ হাজার গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।

সভার শুরুতে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের কিছু অপেশাদার ও উচ্চাভিলাষি পুলিশ সদস্যের কর্মকান্ডের কারণে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন দুস্কৃতকারী কতৃক। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আমাদের পুলিশ সদস্য যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ এবং জুলুমবাজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনাদের সাংবাদিক সদস্যদের মধ্যে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গে এসপি বলেন, ‘জড়িত না এমন ব্যক্তিরা মামলার বিষয়ে তদন্তের পর ন্যায়বিচার পাবেন।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কাজ করা বিরাট চ্যালেঞ্জের হয়ে দাড়িয়েছে। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। ৫ তারিখ সরকার পতনের পর কুচক্রি মহল সদর-টংগিবাড়ী থানা, ট্রাফিক কার্যালয় লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার জন্য প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আপনাদের কাছে থাকা ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করার আহবান করছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশের জন্য বিব্রতকর এমন কাজে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সদস্যরা জড়িত হলে তাদের শাস্তির হুশিয়ারি দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সরকারের অস্ত্র লুট করে কেউ কখনো পার পায়নি। যতই শক্তিশালী কিংবা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হোক না কেন সরকারি অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। এখনো লুট হওয়া ৩১ টি অস্ত্র ও ৮-৯ হাজার গুলি উদ্ধার হয়নি।

মতবিনিময় সভায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছিরউদ্দিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি, সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, শহীদ-ই-হাসান তুহিন, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, আমার বিক্রমপুরের সম্পাদক শিহাব আহমেদসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

error: দুঃখিত!