মুন্সিগঞ্জ, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মিরকাদিমে আওয়ামী লীগ নেতা ও দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী মনছুর আহমেদ কালামের ভাইয়ের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঐ বাড়িতে মনছুর আহমেদ কালামও প্রায়ই থাকেন তবে বাড়িটির মালিক তার ভাই মীর আব্দুস সালাম।
জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম এলাকার দরগাহবাড়ী এলাকায় অবস্থিত ৩ তলা বিশিষ্ট ঐ বাড়িতে রোববার শেষ রাতে রান্না ঘরের গ্রিলের সিক কেটে ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দল ঢুকে পড়ে।
পরিবারের দাবি, ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে নগদ ৭ লাখ টাকা, ৮০ ভরি স্বর্ণ ও দুটি ব্যবহৃত ল্যপটপ নিয়ে যায়। বাড়িতে মুল্যবান অনেক দলিলপত্র থাকলেও সেগুলো নেয়নি ডাকাতরা।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়ির মালিক মীর আব্দুস সালাম এর ছোট ছেলে জায়েদ হাসান নিতুল (২০) জানান, ডাকাতরা মাস্ক পড়া ছিলো। তাদের চোক ও কপাল খোলা ছিলো এবং তাদের একজনের হাতে অস্ত্র ছিলো। ডাকাতরা তার কাছে তার বোনের জামাই বাড়িতে আছেন কি না সেটাও জানতে চেয়েছিলেন।
মীর আব্দুস সালাম এর বড় ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী মাহাদী হাসান (২৪) জানান, ডাকাতরা তার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে তার রুমে ঢুকে তার হাত ও চোখ বেধে রাখে। এবং তারা যাওয়ার সময় যে রাস্তা দিয়ে যায় সে রাস্তাটি এই বাড়িতে যারা প্রথম ঢুকেছেন তাদের চেনার কথা নয়।
মীর আব্দুস সালাম এর একমাত্র মেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী নাজিয়া আফরিন বৃষ্টি (২৭) জানান, তিনি শশুড় বাড়িতেই থাকেন। ৭ দিন যাবৎ বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। ডাকাতরা ৭-৮ জন ছিলো। এর মধ্যে ২ জন ছিলো লুঙ্গি পরা। তারা বারবার আস্বস্ত করার চেষ্টা করছিলেন তারা ডাকাতি ছাড়া কোন ক্ষতি করবেননা। এবং তারা খুব ভালো ব্যবহার করছিলো।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মীর আব্দুস সালাম (৬০) ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘ডাকাতদের ভাষা শুনে মনে হয়েছে তারা পূর্বপরিচিত। তাদের বাসাও মুন্সিগঞ্জেই। বাড়িটি ৩ তলা হলেও তারা বাড়ির নিচ তলা ব্যতিত অন্য কোন তলায় যাননি। তবে তারা বাইরে থেকে প্রথমে একবার ২য় তলায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে পরবর্তীতে মনে হয়েছে।
জানা গেছে, মীর আব্দুস সালাম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এর আগে তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। তার ভাই মনছুর আহমেদ কালাম একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। যে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেটিকে সবাই মনছুর আহমেদ কালাম এর বাসভবন হিসেবেই চিনেন।
ব্যবসায়ী ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মনছুর আহমেদ কালাম (সিআইপি) ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘যেহেতু রাজনীতি করি। অপজিশন কেউও এরকম পরিস্থিতি ঘটাতে পারে। তবে আমরা সবকিছু নিজেদের মত করে পর্যবেক্ষণ করছি। পুলিশও তৎপর রয়েছে।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান রাত ১১ টার দিকে ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ কয়েক দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে ঘটনাটি দেখছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের খুঁজে বের করা হবে।