১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১০:২৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মালয়েশিয়ায় নিহত ৩ রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে মুন্সিগঞ্জে দাফন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২০ অক্টোবর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মালয়েশিয়ায় রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৩ বাংলাদেশির লাশ মুন্সিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার রমজানবেগ এলাকার নিজ বাড়ির উঠানে ৩ রেমিট্যান্স যোদ্ধার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে মানুষের ঢল নামে। পরে রমজানবেগ দক্ষিণপাড়া সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

মালয়েশিয়া থেকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রমজানবেগ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় রাজ্জাক ভূঁইয়ার ছেলে জব্বার আলী (৩৬), আবুল কাশেমের ছেলে আবু তাহের (৩২) ও মো. মহিউদ্দিনের ছেলে মো. সালামের (২১) মরদেহ। ৩ রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

গত ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের ইস্কান্দার পুতেরের গেলাং পাতার এসআইএলসি শিল্প এলাকার রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কারখানার ভেতর থাকা ওই ৩ বাংলাদেশি দগ্ধ হন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মারা যান জব্বার আলী, ১২ অক্টোবর ভোরে মারা যান আবু তাহের এবং পরদিন ১৩ অক্টোবর বিকালে মারা যান দগ্ধ মো. সালাম।

কান্না জড়িত কন্ঠে মা তাসলিমা বেগম বলেন, ‘ছেলে সালামের বয়স যখন ৩ মাস, ঠিক তখন আমার স্বামী চলে যায়। সেই থেকে রমজানবেগ এলাকার বাবার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকি। ছেলে বড় হওয়ার পর ভেবে ছিলাম এক টুকরো জমি কিনবো। আর ওই জমিতে হইবো নিজের বাড়ি। সেই আশা নিয়েই ঋণে টাকা এনে ১ বছর ৩ মাস আগে ছেলেকে মালয়েশিয়ায় আমার ছোট ভাই আবু তাহেরের কাছে পাঠিয়েছিলাম। আমার ছেলে সেখানে রাসায়নিক কারখানায় কাজ করতো তার মামার সঙ্গে। এক টুকরো জমি আর নিজের বাড়ি তো দুরের কথা ঋণের টাকাও শোধ করতে পারিনি। তার আগে আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। চলে গেছে আমার ভাইডাও।’

নিহতের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

error: দুঃখিত!