১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ৩:০০
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
করোনা সংকটে মুন্সিগঞ্জে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৯ মে, ২০২০, সাজ্জাদ হোসাইন (আমার বিক্রমপুর)

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছে মুন্সিগঞ্জের হাসপাতালগুলো। 

করোনা আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সাথে মিলে যায়। তাই করোনা শনাক্ত না হলে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করতে হবে বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্ণার তৈরির জন্য বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। জনবল সংকটসহ বেশি কয়েকটি সংকটের মধ্যেও সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যে মুন্সিগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগে ৪০ জনের বেশি স্বাস্থ্য কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ ভর্তি নেই এবং সেবাও নিতে আসেনি।

মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি চিঠি এসেছে। উপজেলা পর্যায়েও এই চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জ্বর হলে খেয়াল রাখা। ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কীট আছে সংগ্রহে। তবে এখন করোনার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে সাধারন রোগীর সাথেও রাখা যায়না। চিকিৎসকরা খেয়াল রাখছেন, করোনার মধ্যে যেহেতু ডেঙ্গুর মৌসুম আসছে। এখন অনেকেই জ্বর হলেই করোনা আতংকে পরীক্ষা করতে চাইবে না। তাদেরকে সচেতন করা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডেঙ্গুর দিকে একটু বেশি মনযোগ দেওয়া হবে।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার(আরএমও) সাখাওয়াত হোসেন জানান, এখন হাসপাতালে রোগীর আনাগোনা খুব কম। স্বাভাবিক সময়ে যেই রোগী দেখতে হতো তা এখন নেই বললেই চলে। মুন্সিগঞ্জে এখনো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কেউ আসেনি সেবা গ্রহন করতে। তেমন কোন চাপও নেই এমন রোগীর। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরপরও ডেঙ্গুর দিকে নজর আছে বলে জানান তিনি।

টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা ইসলাম জানান, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি এসেছে। ইতিমধ্যে, করোনা ও ডেঙ্গুর জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কীট এখনো আসেনি তবে শিগগির আসবে। কিন্তু এখনো ডেঙ্গু রোগীর কোন চাপ নেই হাসপাতালে।

শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুর কোন রোগী হাসপাতালে নেই। এছাড়া সেবা নিতে আসা রোগীদের সংখ্যাও অনেক কম। এখনো ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কীট এসে পৌছায়নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি এসেছে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এখনো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কোন রোগী হাসপাতালে নেই। নির্দেশনা অনুযায়ী এই ব্যাপারে সেবা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ জানান, হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোন নেই রোগী। কোন প্রভাবও এখনো পড়েনি। আমাদের সামান্য কিছু কীট আছে। আমাদের জনবল আছে, নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত আছি বলে জানান তিনি।

error: দুঃখিত!