১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ১০:৪৫
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে শরীর শিউরে উঠেছিল: মহিউদ্দিন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ মার্চ, ২০২০, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু (আমার বিক্রমপুর)

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। এদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জনসভা মঞ্চে আসার পর লাখ লাখ জনতার সঙ্গে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর তার ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করলেন। ভাষণ দেওয়ার পুরো সময় তার সঙ্গে থেকেও দেখিনি তার হাতে কোনো লেখা কাগজ। লক্ষ্য করেও তার হাতে কিছুই দেখতে পাইনি। অনেক বক্তা ভাষণ দেওয়ার আগে ছোট চিরকুটে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা পয়েন্ট লিখে রাখলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাতে কোনো কিছুই দেখিনি। অনর্গল তিনি সুন্দর সাবলীলভাবে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। ধাপে ধাপে কী সুন্দর সাবলীলভাবে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যা ঐশ্বরিক ব্যাপার। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর চিফ সিকিউরিটি অফিসার এবং বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন এ সময় তার পেছনে দাঁড়ানো থাকাবস্থায় তার ভাষণ শুনে শরীর শিউরে উঠছিল। ওই ভাষণ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর পেছনে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি হাততালি দিয়েছিলাম। তার ধাপে ধাপে সাজানো গোছানো ভাষণ দেওয়ার একপর্যায়ে আমি নিজেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম, আর তখনই নিজের অজান্তে হাততালি দিয়েছিলাম।

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ভাষণ দেওয়ার জন্য যখন মঞ্চে উঠবেন এবং ঐতিহাসিক এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কী বলবেন, তা কেউ জানত না। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে যখন বলছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঠিক সেই সময়ে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম, আমার কাছে তখন মনে হয়েছে যে, স্বর্গীয় কোনো মহাপুরুষ বা মহামানব এ কথাগুলো বলছিলেন। ফলে মনের অজান্তেই বঙ্গবন্ধুর পেছনে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছিলাম। পরে ভাষণের ভিডিও দেখে বুঝেছি যে, লাখ লাখ জনতার সঙ্গে আমিও হাততালি দিয়েছিলাম।

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরও বলেন, ৬ মার্চ রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে। পরদিন ৭ মার্চ লাখ লাখ বাঙালির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেবেন তাতে বঙ্গবন্ধুর মধ্যে কোনো উৎকণ্ঠা দেখা যায়নি। কোনো পূর্ব প্রস্তুতিও ছিল না, তিনি ছিলেন একেবারেই স্বাভাবিক। সবার সঙ্গে কথা বলছেন, ছাত্রনেতাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দিচ্ছেন।

error: দুঃখিত!