১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | বিকাল ৩:৫৬
হাসপাতালের সামনে থেকে ধর্ষণ মামলার আসামির ব্যানার অপসারণ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৭ জুলাই ২০২৩,  নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকায় ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ছাদে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা শেখ শাকিলের ব্যানার সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের প্রধান গেইটের সামনে থেকে তার ব্যনারটি সরিয়ে নেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় হাসপাতালের ভেতরে ভু্ক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা চলছিলো।

শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত ব্যানারের ছবিতে দেখা যায় নিজেকে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করে শেখ শাকিলের ছবি সম্বলিত ব্যানারটিতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান ছাড়াও শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগর, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও যুবলীগ নেতা রুবেলের ছবি রয়েছে। কিন্তু দুপুরে ব্যানারটি অপসারণের পর এখন সেটির আর কোন অস্তিত্ব নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে ধর্ষণের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শেখ শাকিলকে (২৫) আসামি করে সদর থানায় মামলা হয়। শাকিল সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের চরমশুরা এলাকার হাবিবুরের পুত্র। তারা শহরের দুধবাজার সংলগ্ন খালইষ্ট এলাকার ভাড়াটিয়া।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করে বলা হয়, ভুক্তভোগী ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গেল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার সিড়ি থেকে জোরপূর্বক ছাদে সিড়ি সংলগ্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল। ভুক্তভোগী তার মায়ের কাজের সূত্রে বিভিন্ন সময়ে জেনারেল হাসপাতালের আশপাশেই থাকতেন। ঘটনাক্রমে তার উপর চোখ পড়ে শাকিলের।

এদিকে মামলার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের সর্বাত্মক অভিযান চলমান রয়েছে। আজ ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন, হাসপাতালে কিশোরীকে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।

error: দুঃখিত!