পবিত্র হজ পালনের জন্য অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। পাঁচ বছর ধরে অন্যান্য দেশের নির্দিষ্ট সংখ্যার ২০ শতাংশ কম মানুষ হজ করার সুযোগ পেতেন। পবিত্র কাবা শরিফ সম্প্রসারণের জন্য ওই কোটা পদ্ধতি আরোপ করে দেশটির সরকার।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, গত শুক্রবার কোটা পদ্ধতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে ২০ শতাংশ বেশি মানুষ হজ করতে পারবেন। অর্থাৎ জনসংখ্যার অনুপাতে এখন শতভাগ মানুষ হজ করতে যেতে পারবেন। পাঁচ বছর ধরে ২০ শতাংশ কম মানুষ হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারতেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন নাইফ কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য প্রস্তাব দেন। তিনি সুপ্রিম হজ কমিটির প্রধানেরও দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছর আগে সম্প্রসারণের কাজের জন্য কোটা পদ্ধতি করে হজে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। বর্তমানে সম্প্রসারণসহ অন্যান্য কাজ প্রায় শেষের দিকে। যুবরাজ মুহাম্মদ আগামী হজে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে স্বাগত জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল (হজ) জহিরুল ইসলাম সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, কোটা পদ্ধতি থাকার কারণে গত বছর এক লাখ এক হাজার বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। কোটা পদ্ধতি না থাকায় এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।