১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
শিহাব আহমেদঃ সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া নারীরা ফিরে আসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এধরনের ঘটনা বাংলাদেশের সামাজিক প্রথার প্রচলনের কারনে লুকানো হলেও এখন তা সহজেই যানাযানি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সামাজিক অবস্থানে পরিবর্তন আসার ভয়ও কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশের নারীরা।
তবে সৌদি আরবের অবস্থা এখনো পরিবর্তন হয়নি। আর সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা বা বাংলাদেশ সরকারকেও কোন কার্যক্রর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
২৪ জুলাই ২০১৮ইং তারিখে ‘বিবিসি বাংলা’য় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে বর্তমানে ২,০৩,০০০ নারী শ্রমিক কর্মরত।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর থেকে এদের মধ্যে ৩% অর্থাৎ ৬,০০০ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। তবে ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই হিসেবটা আরও প্রচুর পরিমানে বেড়েছে।
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মফস্বল এলাকার একজন নারী যিনি ২০১৮ এর ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব গিয়ে মাত্র ৭মাস পর অর্থাৎ ২০১৮ এর আগষ্টে ফিরে এসেছেন।
রুমা আক্তার নামের সেই নারীর অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। তার অবস্থান ছিলো এরকম-‘যা ঘটে গেছে তা বলে লাভ নেই’
সৌদি আরব থেকে এত কম সময়ের মধ্যে ফেরত আসার কারন হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম মাসে তাকে ২৫ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি হাতে পেয়েছিলেন ১৪ হাজার টাকা’
তবে যে বিষয়টা তাকে আরও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলেছিলো সেটা হলো- প্রতিদিনই তাকে একাধিক বাসায় একই কাজ বারবার করতে হতো। যেটা ছিলো তার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধি শহীদুল ঢালী মনে করেন, মফস্বলের নারীরা স্বাভাবিকভাবেই অনুন্নত পরিবেশে কাজ করে ও চলাফেরা করে অভ্যস্ত। কিন্তু সৌদি আরবের বাসাবাড়ির পরিবেশ অনেক উন্নত। যেসব নারীরা সৌদি আরবে যেতে দ্র্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা এই পরিবেশের কথা পুরোপুরিভাবে যানেন না। তাই সেখানে সমস্যা হচ্ছে। এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে তারা ফেরৎ আসছেন।