২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সন্ধ্যা ৭:৪৫
সিরাজদিখানে স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা, থানায় মামলা
খবরটি শেয়ার করুন:

জেলার সিরাজদিখানে ঘরে ঢুকে তাহমিনা আক্তার (১৫) নামে স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

স্কুলছাত্রীকে আশঙ্কাজনকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা চলছে। বুধবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো।

কিন্তু দুবৃর্ত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে স্কুলছাত্রী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার রশুনীয়া ইউনিয়নের চোরমর্দন গ্রামের স্কুল ছাত্রী তাহমিনাকে হত্যার চেষ্ঠা করা হয় তার বাড়িতে।

বুধবার তাহমিনা এসএসসি বাংলা প্রথম পত্রের টেস্ট পরীক্ষা শেষে বাড়ি এসে ঘরে প্রবেশ করার পর পর স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় ২-৩ জন দুবৃর্ত্ত তাকে কুপিয়ে জখম করে দুবৃর্ত্তরা। ঘরের মেঝেতে এখনো রক্তের দাগ রয়েছে। তাহমিনা সিরাজদিখান উপজেলার রশুনীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ও চোরমর্দন এলাকার মো. তফিজউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে।

এ ঘটনায় রাতেই ছাত্রীর বাবা তফিজউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।

তাহামিনার বাবা তফিজ উদ্দিন জানান, ওকে আমরা স্থানীয় হাসপতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেই, এখনো সুস্থ হয়নি। মঙ্গলবার রাতে মামলা করেছি। র‌্যাব-পুলিশ এসেছিল।

সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, রশুনীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা শেষে বিকেলে নিজ বাড়িতে মুখোশপড়া ২-৩ জন দুবৃর্ত্ত তাহমিনার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাহমিনাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাকে পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ওই পুলিশ কর্মকতার ধারণা, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞাত বখাটে তাহমিনাকে কুপিয়ে জখম করেছেন। বর্তমানে পুলিশের একাধিক টিম হামলাকারীদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত-তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তাহমিনা সুস্থ হওয়ার পর আমরা তার সঙ্গে কথা বলার পর প্রকৃত ঘটনা জানতো পারবো।

রশুনীয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ তালুকদার এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

error: দুঃখিত!