মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শ্লীলতা হানির সহযোগীকে আটক নিয়ে তোলপাড় চলছে এলাকায়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম জাহাঙ্গির তালুকদার। সে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য।
জানা যায়, গত ৩০ আগষ্ট জৈনসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রী স্কুল শেষে কামাল স্যারের কাছ থেকে প্রাইভেট পড়ে বিকাল ৪টায় মেম্বারের বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বিভিন্ন প্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে ইউপি মেম্বারের বাড়ি কাছে নিয়ে যায় সহপাঠি ইভার আম্মু (শিউলী আক্তার)। স্কুল ছাত্রীটির সাথে তানজিনা নামে তার এক ক্লাসমেট ছিল।
তখন তার মা মেয়েটির বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জমির উদ্দিন সরদার, ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম,হারুন মেম্বারসহ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গকে বিষয়টি অবহিত করেন। পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও গ্রামের মাতব্বরা কোন কিছুর সুরাহা না করলে আবার তাদের কাছে গেলে তারা বিষয়টি সিরাজদিখান থানা পুলিশকে জানাতে বলে।
এ ব্যাপার বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক জমিরউদ্দিন সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রথমিকভাবে মেম্বারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় মুরব্বি হারুন মেম্বার ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহবুব খান জানান, এর আগেও কয়েকবার এ মেম্বারের বিরুদ্ধে মেয়ে ঘটিত ব্যাপারে এলাকায় খারাপ রেকর্ড আছে। এমন চরিত্রহীন মেম্বার দিয়ে ইউনিয়নের ছাত্রীরা নিরাপদে শিক্ষা নিতে পারবেনা। আমাদের মেয়েদের ইজ্জত রক্ষা করতে হলো এখনই এ চরিত্রহীন মেম্বারকে বিদায় করতে হবে।
সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) মোঃ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে জৈনসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতা হানি করার মেম্বাারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে শ্লীলতা হানির সহযোগী শিউলী আক্তারকে শুক্রবার (গতকাল) বিকালে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।