২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ১:৫০
সত্যেন সেনের ‘পদচিহ্ন’ ও সোনারং গ্রামের চিত্র
খবরটি শেয়ার করুন:

শেখ রাসেলঃ  দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখক সত্যেন সেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের লীলাভূমি বিক্রমপুর এর সোনারং গ্রামে ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন ।গ্রাম বাংলার পটভূমিতে লেখা তাঁর ‘পদচিহ্ন’ উপন্যাস বাঙালী জীবনের এক মহাকাব্য । পদচিহ্ন উপন্যাস মূলত সোনারং গ্রামের পটভূমিতে লেখা হয়েছে । যদিও তিনি উপন্যাসে গ্রামের নামটি শ্রীপুর লিখেছেন। সোনারং গ্রামের পটভূমিকায় পদচিহ্ন লেখা হলেও এ উপন্যাসে এই জাতি ও এই দেশের এক ভাঙ্গাগড়ার ইতিহাসকেই লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে ।পদচিহ্ন উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ।

অনুমান করা হয় তিনি জেলে বসেই পদচিহ্ন লেখেন ।পদচিহ্ন উপন্যাস দুই খন্ডে রচিত হয়েছিল ।প্রথম খন্ডের মূল ঘটনাস্থল শ্রীপুর গ্রাম । প্রথম খন্ডে শহর থেকে গ্রাম দেখতে গিয়েছিল আনিস বন্ধু সুবিনয়ের সঙ্গে ।দ্বিতীয় খন্ডের ঘটনা গ্রাম থেকে শহরে ।পদচিহ্ন উপন্যাসের নায়ক যেন শ্রীপুর গ্রাম নিজেই ।ঔপন্যাসিক গ্রামের এই নামটি ছদ্মনামে ব্যবহার করেছেন । ১৯৪৭ সালের ভারত- বিভাগ গ্রামটিকে কেমন ছিন্নভিন্ন ,শ্মশান করে তুলেছিল তা সত্যেন সেন পদচিহ্ন এর পাতায় পাতায় তুলে ধরেছেন । সারা ভারতের বিপ্লবীদের খানকা ছিল সোনারং গ্রাম । উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে বিপ্লবীরা এ গ্রামেএসে আশ্রয় নিত । বিপ্লবী মাখনলাল এই গ্রামের সন্তান তিনি এ গ্রামে বিপ্লবীদের নিয়ে একটি জাতীয়বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।

সোনারং গ্রামের অনেক লোকচরিত্র অনেক বংশ ওপরিবার এঅনেকস্মৃতিকথা ইতিহাসপার্শ্ববর্তী গ্রামইত্যদির কথা পদচিহ উপন্যাসে সরাসরি ছায়াপাত ঘটেছে । যেমন ,গ্রামের পূর্বপ্রান্তে ও উওর প্রান্তমাত্র দুটি মুসলিম পল্লী । (পদচিহ্ন,প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা ১৪০) শ্রীপুর নামের সোনারং গ্রামের এই যে চিত্রলেখক পদচিহ্ন উপন্যাসে তুলেধ রেছেন গ্রাম জীবনের অসাধারণ চিএকল্প। গ্রামের প্রতিটি চরিত্র ,মাঠ, রাস্তা, ঘাট ,প্রতিষ্ঠান, এমনকি ধূলিকণা ও উপন্যাসে জীবন্ত হয়েকালের গৌরবের ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা বলে গেছে ।

error: দুঃখিত!