মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দ্রা এলাকায় সরকারি খাস জমিতে ঘর উঠানো, গাছ কর্তন সহ জমি দখলকে কেন্দ্র করে তরিকুল ইসলাম গং ও আজিজুল ইসলাম গং পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও এ ঘটনায় তরিকুল ইসলাম গং জেলা মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং-২১/২০২১।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভাগ্যকুল এলাকার মান্দ্রা মৌজায় সিএস খতিয়ান নং ১৪৭, আরএস ৫২৩ সিএস/এসএ ৬৬৫ ও আরএস ১১৮১ নং দাগে বাড়ির মোট সম্পত্তির পরিমান ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে ওই এলাকার মৃত রায়হান উদ্দিন ও মোহাম্মদ রায়হান শেখের ওয়ারিশগণরা রেকর্ড বলে ১২ শতাংশ সম্পতি ভোগদখল করে আসছেন। অপরদিকে একই এলাকার মৃত হোসেন হাওলাদারের ওয়ারিশগণরা জায়গার কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও তারা দাবী করেন যে তারা এই সম্পত্তি গত ৪০ বছর ধরে ভোগদখলে আছেন।
লক্ষ্য করা গেছে, হোসেন হাওলাদারের ওয়ারিশরা খাস জমির বেশ কিছু গাছপালা কর্তন করেছেন। এ সময় তরিকুল ইসলাম ও শেখ সালাউদ্দিন সবুজ গং বলেন, সিএস ১৪৭নং খতিয়ানে তাদের নামে সঠিকভাবে রেকর্ডভূক্ত হয়ে প্রচার ও প্রকাশ পায়। গত ৬০ বছর যাবত এই ১২ শতাংশ সম্পত্তি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। অথচ আমাদের জানামতে একই দাগের বাকি ১২ শতাংশ খাস সম্পত্তি রফিকুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম গং ভোগদখলে থেকে এখনো ঘর নির্মাণ করে পুরো সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
আজিজুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কাগজপত্র না থাকলেও আমরা গত ৪০ বছর যাবত এই জমি ভোগদখল করছি। সরকারি জায়গা থেকে বিভিন্ন জাতের বেশ কয়েকটি গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছগুলো তারাই রোপণ করেছিলেন। স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছগুলো কাটতে হয়েছে।
স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসীলদার মো. আব্দুল হান্নান গাছ কর্তনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদেরকে বলা হয়েছে সরকারি জায়গায় কোন স্থাপনা নির্মাণ করা ও গাছ কর্তন করা যাবেনা। যদি কেউ আইন অমান্য করা হয় তাহলে ততাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানার এসআই মো. আজিজ জানান, সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পাই কয়েকটি গাছ কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষকে বলেছি বিরোধপূর্ণ জায়গার মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কেউ কাজ করতে পারবেনা।