জয়-পরাজয়েরও নেই কোন মূল্য নেই। তবুও এটা একটা লড়াই। ক্রিকেটীয় লড়াই। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান। আর এই লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসলো শহীদ আফ্রিদির পাকিস্তান। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দীনেশ চান্দিমালের শ্রীলঙ্কাকে চার বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই হারায় পাকিস্তান।
১৫১ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন শারজিল খান এবং মোহাম্মদ হাফিজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জয়সুরিয়া নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন ১৪ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে। অষ্টম ওভারে দিলশানের বলে কাপুগেদারার তালুবন্দি হন আরেক ওপেনার শারজিল খান। বিদায়ের আগে ২৪ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় তিনি ৩১ রান করেন।
এরপর স্কোরবোর্ডে আরও ৩৬ রান যোগ করেন সরফরাজ আহমেদ ও উমর আকমল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ফেরেন ২৭ বলে ছয়টি বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করা সরফরাজ। তাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন শ্রীবর্ধানে। তবে সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন শোয়েব মালিক আর উমর আকমল। দুজনে মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।
জয় থেকে মাত্র এক রান দূরে থাকতে ফেরেন ৪৮ রান করা উমর আকমল। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার আর দুটি ছক্কা। কুলাসেকারা ফেরান আকমলকে। শোয়েব মালিক ১৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯.২ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেন দুই লঙ্কান ওপেনার দীনেশ চান্দিমাল ও তিলকরত্নে দিলশান । ওপেনিং জুটির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ভালো সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ছয় ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৪৪। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বিনা উইকেটেই ১০০ রানের কোঠা পার করে লঙ্কানরা। এরই মধ্যে অধিনায়ক ও দলীয় ওপেনার দীনেশ চান্দিমাল ৪৩ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধ শতক।
দুজনে মিলে গড়েন ১১০ রানের জুটি। তবে ১৫ তম ওভারে এসে প্রথম সাফল্য পায় পাকিস্তান। ওভারের প্রথম বলে ওয়াহাব রিয়াজ ফেরান চান্দিমালকে। শারজিল খানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি ৪৯ বলে করেন ৫৮ রান। এরপরের ওভারে ফিরে যান সেহান জয়সুরিয়াও (৪)।
এদিকে আরেক ওপেনার দিলশান তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তবে শেষদিকে তাকে যোগ্য দিতে পারেননি কেউই। ইনিংসের ১৮ তম ওভারে ফিরে যান চামার কাপুগেদারা (২)। দুই বল পর ফিরে যান দাসুন শানাকাও। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫০ রান সংগ্রহ করতে স্কক্সম হয় লঙ্কানরা।
দিলশান ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫৬ বল মোকাবেলা করে ডানহাতি এ ওপেনার ১০টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান।
বাকিটা সময় মিলিন্ডাকে নিয়ে দিলশানই এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৫০ রান। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ইরফান নেন দুটি উইকেট। তবে এদিন উইকেটের দেখা পাননি মোহাম্মদ আমির।
এ ম্যাচে বিশ্রামে মালিঙ্গার পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তার জায়গায় লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেন দিনেশ চান্দিমাল। ম্যাথুজের জায়গায় দলে আসেন নিরোশান দিকওয়েলা। পাকিস্তান একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সামি, খুররম মনজুর আর আনোয়ার আলি। তাদের পরিবর্তে দলে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ নওয়াজ আর ইফতেখার আহমেদ।