লিবিয়া যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জের সোহাগ সুদানে মারা গেছে। আজ শনিবার দুপুরে এই খবর পেয়ে তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের তাতি কান্দিতে শোকের মাতম চলছে। গত ১৩ ই আগস্ট দুবাই থেকে মো. সোহাগ হোসেনসহ অন্যদের সুদান নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গাদাগাদি করে তাদেরকে মালবাহী গাড়িতে উঠানো হয়। সুদান থেকে লিবিয়া যাওয়ার পথে গাদাগাদির কারনে শাসরুদ্ধ হয়ে সোহাগ মারা যায়। পরে দালাল চক্ররা সোহাগের লাশ মাঝ পথে ফেলে চলে যায়। তার সাথে তার সহযোগিরা লিবিয়া পৌছালে সোহাগের গ্রামের বাড়িতে এই খবর দেয়া হয়। সোহাগ হোসেন মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরঙ্গগা কলেজে কর্মাস বিভাগের অর্নাসের পড়াশোনা করছিলো।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সোলার চর গ্রামের আদম ব্যবসায়ী লিটন বেপারি ও আবু সুফিয়ান সাড়ে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সোহাগকে মুন্সীগঞ্জ থেকে নিয়ে যায়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সোহাগের মামা বজলু মাহমুদ বলেন, গত ২রা আগস্ট আমার ভাগিনা সোহাগসহ একই ইউনিয়নের আরো ২০ জনকে লিবিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় দালাল চক্র। অন্যরা লিবিয়া পৌঁছলেও আমার ভাগিনা সোহাগ দালালদের খামখেয়ালির কারণে মারা যায়। এই দালাল চক্রের সাথে কুমিল্লার ইউসুফ গ্রুপ জড়িত আছে।
তিনি আরও জানান, ইউসুফ সুদানে থাকে। বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার কারীদের মাধ্যমে সুদান পাঠানো লোকজনকে ইউসুফের হাতে হস্তান্তর করা হয়। সোহাগের মৃত্যুর খবর মুন্সীগঞ্জে পৌছলে আদম ব্যবসায়ী লিটন ও সুফিয়ানসহ পরিবারে গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে।
সূত্রঃ মুন্সীগঞ্জ বার্তা ডট কম