ষ্টাফ রিপোর্টার, মোল্লাকান্দি থেকেঃ (অামার বিক্রমপুর)
মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোটগ্রহন অাগামীকাল। ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে প্রচার-প্রচারণা। প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্র গোছানোর। ভোটের সর্বশেষ হিসেব-নিকেষ বলছে মোল্লাকান্দিতে ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (বর্তমান সদস্য) মোঃ অাবুল হোসেন বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ‘ফুটবল’
অাবুল হোসেনের এগিয়ে থাকার কারন হচ্ছে গত ৫বছরে তার এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ও জনস্বার্থে স্ব-উদ্যোগে এগিয়ে অাসা। এছাড়া তার ছোটভাই কাতার প্রবাসী ব্যাবসায়ী ইউসুফ।
এই ওয়ার্ডের জনগণের কাছে অাবুল হোসেন ও ইউসুফ এতটাই জনপ্রিয় যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হয়। বিশেষ করে অাবুল হোসেনের নিজ গ্রাম মহেষপুরে এমন অবস্থা প্রকাশ্যেই দেখা যায়।
মহেষপুর গ্রামের মসজিদ পরিচালনা কমিটি’র একাধিক ব্যাক্তি বলেন, সরকার/চেয়ারম্যান অামাদের কি বরাদ্দ দেয় তার চেয়ে বেশি পাই অামরা অাবুলের ব্যাক্তিগত তহবিল ও তার ভাই ইউসুফ এর কাছ থেকে।
মহেষপুর স্কুল পরিচালনা কমিটির একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মহেষপুর ঢোকার পথে যে রাস্তাটা এটা সরকার করে দিয়েছিলো অপর্যাপ্ত। অাবুল হোসেন ও ইউসুফ মিলে এটাকে নিজেদের টাকায় স্কুল পর্যন্ত নিয়ে গেছে। যাতে স্কুলের শিশুদের পড়ালেখায় সমস্যা না হয়।
অামরা এখানে ইউসুফ কে যে চোখে দেখি ইউসুফের ভাইদেরকেও সেভাবে দেখি। তাই ইউসুফের ভাই অাবুল হোসেন গতবারের মত এবারও ফুটবল মার্কায় বিপুল ভোটে পাশ করবে বলে অামাদের ধারনা।
মহেষপুর গ্রামের সানোয়ারা বেগম বলেন, ইউসুফ বিদেশে বসে তার ভাই অাবুল হোসেনের কথায় অামার মা’র অসুস্থতার কথা শুনে অামাকে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছিলো। অামি সেই উপকারের কথা ভুলিনি। মহেষপুরের এমন কোন ব্যাক্তি নাই যাদের খোজ-খবর অাবুল হোসেন, ইউসুফ, রসূল রাখে না।
তাই অামার অনুরোধ সকলের প্রতি তারা যেন নির্দ্বিধায় অাবুল হোসেন কে ফুটবল মার্কায় ভোট টা দেয়।
নির্বাচনের বিষয়ে খোলামেলা কথা হয় অাবুল হোসেনের সাথে। তিনি একান্ত অালাপচারিতায় ‘অামার বিক্রমপুর’ কে বলেন- ‘মানুষ নির্বাচন করে প্রভাবের জন্য। অামার প্রভাবশালী হওয়ার দরকার নেই। মানুষ নির্বাচন করে নিজে কয়টা টাকা অায় করে ভবিষ্যতে কিছু করার জন্য। অামার সেটাও দরকার নেই। অাল্লাহ অামাদের টাকা পয়সা দিয়েছে। অামি শুধু নির্বাচন করছি মানুষের সেবা করার জন্য। মহেষপুর তথা ১নং ওয়ার্ডবাসীর অামাদের প্রতি যে ভালোবাসা সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেননা।
অামি তাদের বলেছি, নির্বাচন ছাড়া, মেম্বার হওয়া ছাড়াই তো অামি অাপনাদের জন্য কাজ করি, অাপনাদের সেবা করি, তাহলে এ বার অামাকে একটু বিশ্রাম নিতে দেন। অামি এবার নির্বাচন করবো না। তারা কেদে, অামাকে কসম দিয়ে অামাকে হাত-পা ধরে রাজি করিয়েই ছেড়েছে। তাদের প্রতি নির্লোভ, নিঃস্বার্থ দরদ ও ভালোবাসা থেকেই অামি নির্বাচনে এসেছি। অামি জয়-বিজয় নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই। জয়-বিজয় অাল্লাহর হাতে। মানুষ উসিলা মাত্র।