মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা’র দশকানি এলাকার খালেক মোল্লা’র মেয়ে রোকেয়া (৩২) কে গত বিএনপি সরকারের সময় ধর্ষন করে একই এলাকার মৃত তন্জু ভূইয়া’র ছেলে আশাবউদ্দিন (৩৫) এরপর গ্রাম্য সালিশে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেন তাকে আশাবউদ্দিন।
এখানেই থেমে থাকেনি আশাবউদ্দিন এর অপকর্ম। এক ছেলে ও এক মেয়ের সুখের সংসারে অন্ধকার নেমে আসে সামান্য যৌতুকের টাকার জন্য। দীনের পর দিন নির্গহ-নির্যাতনের স্বীকার হতে থাকে স্ত্রী রোকেয়া। এতে বাধ্য হয়ে রোকেয়া’র পিতা খালেক মোল্লা কয়েকবার ধার-দেনা করে মেয়ে জামাতা’র হাতে টাকা তুলে দিলেও শেষপর্যন্ত রেহাই পায়নি রোকেয়া।
সর্বশেষ গত ২০অগাষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী’কে মেরে মারাত্মক জখম করে আশাবউদ্দীন। গুরুতর আহত আশাবউদ্দিন এর স্ত্রী রোকেয়া কে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, ‘রোগী মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাছাড়া রোগী অনবরত বমি করছে। তাই তাকে জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসা দেয়া দরকার।’
ঘটনার খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা’র এসআই ইমারত হাসপাতাল পরিদর্শন করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলেও ভুক্তভোগীর স্বজনেরা সামাজিক লজ্জার কারনে মামলা দায়ের করতে অপারগতা প্রকাশ করে।
এদিকে অভিযুক্ত আশাবউদ্দিন একই হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের ১৭নং বেডে ভর্তি রয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সেবিকাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান হাইপ্রেশার এর কারনে তার বমি হয়েছে। তাই তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তারও এসময় একই কথা বলেন।