মুন্সিগঞ্জ, ৩ এপ্রিল, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে একটি ড্রেজার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে, অধরা রয়ে গেলো আরেকটি ড্রেজার৷
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি পদ্মা নদী থেকে ড্রেজারটি জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাউল হক সাবেরিন।
এ ঘটনায় শাহাদাৎ বেপারি নামক এক ব্যক্তির ড্রেজার জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত শিলই ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সাবেক মেম্বার ইসমাইল বেপারি ও চাচাতো ভাই শাহাদাৎ বেপারী পদ্মার শাখা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রজতরেখা নদীর উৎপত্তিস্থলে পকেট তৈরি করে কোটি টাকার বাণিজ্য করছে প্রভাবশালী এ চক্রটি। প্রশাসনকে আয়ত্তে নিয়েই এ ব্যবসা পরিচালনা করায় মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই।
এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজার জব্দ করে।
তবে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার পূর্বে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ভাই ইসমাইল মেম্বারের ড্রেজারটি সদর উপজেলা থেকে সরিয়ে নিয়ে টংগিবাড়ী উপজেলা এরিয়ায় রাখা হয়। এতে সদর উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে পূনরায় রক্ষা পেলেন ইসমাইল ও তার ড্রেজার।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কিছুক্ষণ আগেও ইসমাইলের ড্রেজার চলমান ছিল। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত এলাকায় আসার আগে কোনো এক অপশক্তির মাধ্যমে সে খবর পেয়ে সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মেজবাউল হক সাবেরিন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাহাদাৎ বেপারি নামের এক ব্যক্তির ড্রেজার জব্দ করা হয়। ড্রেজার জব্দ করার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, ইসমাইল বেপারি তার ড্রেজার টংগিবাড়ী উপজেলায় নিয়ে যাওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।