মুন্সিগঞ্জ ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ পৌর এলাকায় যে কোন সময় অটো-মিশুক বন্ধ করে দেয়া হবে এমন অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র হাজ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।
তিনি তার ফেইসবুক আইডি থেকে এরকম প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে লিখেন, ‘মুন্সিগঞ্জ শহর তথা পৌরসভার সাধারন জনগন অনেকাংশেই এই সমস্ত গাড়ীর উপর নির্ভরশীল। তাই জনগনের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কিছুই করা যাবেনা। তাছাড়া এই সমস্ত গাড়ী সাধারণত অসহায় দরিদ্র বেকার শ্রেণীর মানুষ চালিয়ে তাদের সংসার পরিচালনা করে। অতএব তারা কর্মহীন বেকার হবে তাদের কষ্ট হবে এমন কিছু করা যাবেনা বরং তাদের পক্ষে তাদের জন্য কিছু করনীয় থাকলে আমি অবশ্যই তা করবো এবং ইজিবাইক ও মিশুক গাড়ী বন্ধ করার প্রচারিত কথাটি মিথ্যা গুজব ও অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’
মেয়র বিপ্লব আরও লিখেন, ‘মুন্সিগঞ্জ শহর ও পৌরসভার রাস্তায় গনপরিবহন হিসাবে প্রচলিত জনপ্রিয় ইজিবাইক (অটো) ও মিশুক গাড়ী এর মালিক, চালক ও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের মাঝে একটি বিশেষ মহল দ্বারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অপপ্রচার গুজব ও আতঙ্ক ছড়ান হচ্ছে, যে কোন সময় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক এই সমস্ত গাড়ী রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে অথবা এর ওপর কোন প্রকার কর আরোপ করা হবে। অথচ আসল সত্য ও বাস্তবতা হল এই সমস্ত ইজিবাইক ও মিশুক গাড়ী বন্ধ করা হবে না।’
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব এর নামে সেই ফেইসবুক পোষ্টের কমেন্টসে অটো-মিশুক নিয়ে বিভিন্ন বিড়ম্বনা ও তাদের মতামতের কথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন নাগরিক। ‘আমার বিক্রমপুর’ সেগুলো তুলে এনেছে।
মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সেই ফেইসবুক পোষ্টের কমেন্টসে Masum Billah নামের একজন লিখেছেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত! তবে কোন জায়গায় কত ভাড়া তার একটা তালিকা করা হলে খুব ভালো হতো !’
R. H. Shuvro নামের একজন লিখেছেন ‘ইজিবাইক অটো নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যে হারে মিশুক বাড়ছে রাস্তায় হাটা যায় না। মিশুক চালকরা খুবই বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায়। আর মিশুকের যে হর্ন বাজানো হয় তাতে করে আমাদের শিশুদের শ্রবন শক্তি কমে আসছে এবং যুবক ও প্রবীণরা যে কোন সময় ব্রেন স্টোক করবে। অনেক বেকার মানুষের কর্মের ব্যবস্থা করেছে যে মিশুক তা বন্ধ না করে হর্নগুলো খুলে আগের দিনের রিকশার বেল লাগানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল। আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং তরুন ও প্রবীণদের কথা চিন্তা করে মিশুকের হর্ন খুলে রিকশার বেল লাগানোর জন্য মেয়র মহাদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ধন্যবাদ।’
ফাহমিদা হোসেন শর্মি লিখেছেন, ‘মিশুক বা অটো বাড়ছে কিন্তু ভাড়া তো কমছে না,,,
আমাদের মতো ছাত্র ছাত্রীরা এর জন্য বেশী ভুগছে!!! রনছের ব্রীজ থেকে কাচারি অটো ভাড়া ১৫ টাকা কিন্তু কাচারি থেকে ১৫ টাকায় আমরা সিপাহীপাড়া যেতে পারি যেখানে রনছের ব্রীজ থেকে ১৫ টাকা খুব বেশি হয়ে যায়!! তাই মেয়র মহোদয়ের কাছে আবেদন এই যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুন্সিগঞ্জে ও ভাড়া অর্ধেক করা হোক!! এতে আমাদের মতো ছাত্রছাত্রীরা অনেক উপকৃত হবে!!!!’
Shahanaj Ashrafi নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনার উদ্যোগ কে শুভকামনা জানাই কিন্তু সেই সাথে প্রবল কষ্টের কথাও জানাই। আমরা সাধারণ জনগণ অটোরিকশা আড়ালে যেন হারিয়ে যাই বিশেষ করে পৌরসভার চত্তরটাতে পা রাখা মুশকিল। তার চাইতে ভয়াবহ বেপার ভারা নিয়ে ২ বছর আগেও দেওভোগ বাজার থেকে পায়ের রিক্সায় কলেজ যেতাম ১০ টাকায় এখন অটো গাড়িতে চাপাচাপি করে ৮ জন বসে কাচারী যেতেই লাগে ১০ টাকা আর রিক্সায় লাগে ২০ টাকা অথচ। কাচারী থেকে মুক্তার পুরের ভারা ১০ টাকা। এই বিষয় গুলি আপনার নজরে আসা দরকার। আমাদের জন্য এইটা জুলুমের বিষয়। দেওভোগ বাজার থেকে কাচারী রিকশা ভাড়া ২০ টাকা। আপনার মহান উদ্যোগ এর পাশাপাশি আমাদের প্রানের দাবী সদর উপজেলার রিক্সা এবং অটো ভারা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। বেশির ভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলি শহর মুখি ছাত্রছাত্রীদের কাছেও সেইম ভাড়া নেওয়া হয় তাদের ভারা অর্ধেক করে দেয়ার ব্যাবস্থা করলে খুশি হবো।’