মুন্সিগঞ্জ, ৭ জুন, ২০২০, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
দেশের যে কয়টি জেলায় করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলা সারাদেশের মধ্যে উপরের দিকে। মুন্সিগঞ্জে আজ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। আর করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩০০ জন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ- এই তিন ভাগে ভাগ করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। আট সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি সরকারের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে।
তবে মুন্সিগঞ্জকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোন জোনে চিন্হিত করা হয়নি। সরকারের এমন কোন নির্দেশনা মুন্সিগঞ্জের প্রশাসন বা স্বাস্থ্যবিভাগের কাছেও এখন পর্যন্ত আসেনি।
এ নিয়ে দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও শহর-গ্রামে আলোচনা চললেও মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ আজ সন্ধ্যা ৭ টা’র দিকে ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেছেন, ‘মুন্সিগঞ্জকে রেডজোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এরকম কোন তথ্য আমরা এখনো পাইনি। শুনেছি ফেইসবুকে নাকি এসব লেখা হয়েছে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জকে পুনরায় লকডাউন করা হবে এরকম কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি চায় তাহলে মুন্সিগঞ্জকে পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসনকে সুপারিশ করবো। আর সবার সাথে পরামর্শ করে যদি পুরো মুন্সিগঞ্জকে লকডাউন না করে শুধুমাত্র মুন্সিগঞ্জের কিছু এলাকা চলাচলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয় সেটা নিবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।’
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের প্রধান হাবিবুর রহমান একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে আজ বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে লাল (রেড), হলুদ (ইয়েলো) এবং সবুজ (গ্রিন) অঞ্চলে ভাগ করার কাজ একই সঙ্গে চলতে থাকবে।
তিনি জানান, কাউকে ‘রেড জোনে’ প্রবেশ বা বের হওয়া অনুমতি দেওয়া হবে না। ‘ইয়েলো জোনে’ সর্ব সাধারণ ও যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ‘গ্রিন জোনে’ তেমন কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। ‘রেড জোন’ এবং ‘ইয়েলো জোন’ থেকে কাউকেই ‘গ্রিন জোনে’ প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি কোনো এলাকার নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে জোনগুলো আলাদা করবো।’