মুন্সিগঞ্জ, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, আক্কাছ আলী (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ও বাংলাবাজার ইউনিয়নের রাস্তাটি বানিয়াল চরবাংলাবাজার থেকে শুরু হয়ে দিঘীরপাড়ের পশ্চিম রাখি লিটুখার বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সংযোগ রাস্তা।
পূর্ব পাশে দুই হাজার ১০০ মিটার রাস্তা ইটের সলিং এবং পশ্চিম পাশে প্রায় ৬০০ মিটার আরসিসি রাস্তা। মাঝখানে ৩০০ মিটার কাচা রাস্তাটি যেন স্থানীয়দের মরণ ফাঁদ।
জানা গেছে, বাংলাবাজার,ইউনিয়নের চর বাংলাবাজার, বানিয়াল, ভারচর, কুমিল্লার মতলবের নাসিরাচর, শিলই ইউনিয়নের প্রায় ৬ টি গ্রামের লোকজন এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ হাজার লোক চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যুগের পর যুগ ধরে। এই রাস্তাটির মাঝখানে ৩০০ মিটার কাঁচা রাস্তা বাদ রেখে ওই রাস্তাতে কয়েক মাস আগে ইটের সলিং করা হয়েছে।
এই পথে নিয়মিত চলাচলকারী স্থানীয় জলিল আহমেদ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি এই মাঝখানের ৩০০ মিটার রাস্তাটি করে না দিলে শিলই ইউনিয়ন থেকে আমাদেরকে বের করে দেওয়া হোক।
বানিয়াল, চর বেহেরপাড়া গ্রামের বদিউজ্জামান মোল্লা, খোরশেদ আলী বেপারী ও আল-আমিনসহ আরও অনেকেই বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করছি। যার কারণে বছরের পর বছর পার হলেও গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তাটিতে লাগেনি আধুনিকতার কোন ছোঁয়া। কিন্তু এবছর সড়কটিতে ইটের সলিং শেষ করেও মাঝখানে অল্পটুকু রাস্তা কাঁচা রয়ে যাওয়ায় আমাদের যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাবাজার ইউনিয়নের শরিফুল কসাই বলেন, ঈদের দিনে গরুর চামড়া বিক্রি করতে বাজারে যাওয়ার সময় কাঁচা রাস্তাটির স্থানে মিশুক উল্টিয়ে আমি আমার কানে আঘাত পেয়েছি।
মাঝখানের এই কাঁচা রাস্তাটুকুতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এখান দিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল এবং অটো মিশুক চলে। স্থানীয়দের দাবি, মাঝখানের ৩০০ মিটার রাস্তাটি যেন দ্রুত ইটের সলিং করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।