মুন্সিগঞ্জ, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেছেন এমন খবরে ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘ভিসি স্যারের পদত্যাগ মানি না, মানব না’,‘ জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, গত ৩১আগস্ট শনিবার হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেন। ভিসির পদত্যাগের খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পরলে মুহূর্তের মধ্যে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীরা ভিসি কে স্বপদে বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থী মো. আবির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের অনুষদের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাস করার পরেও আমরা ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাচ্ছিনা ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি সমাধানে ডিজি হেলথ বরাবর আমরা লিখিত আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় তারা। কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় এগারো মাস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। সম্প্রতি আমাদের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান স্যার আমাদের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। আমরা নিশ্চিত তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে স্যার কে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী রাব্বি ইসলাম প্রিমন বলেন, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীরা ৫দফার দাবিতে আন্দোলন করছে, এর আগে আমাদের ৫দফা ছিল কিন্তু কর্তপক্ষ কর্ণপাত করছে না, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আরেক শিক্ষার্থী আফতাফ আহমদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ হবার পর থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি ছিল। সেই দাবির পাশাপাশি ভিসি স্যারকে স্বপদে বহাল করতে হবে। নাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেক্টরের কার্যক্রম বন্ধ করে কঠোর আন্দোলন করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, শিক্ষার্থীদের একাধিক দাবি আমরা পূরণ করেছি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশনও হয়ে যাবে। এখন ভিসি স্যারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে সরকার।