১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৮:৩৬
মুন্সিগঞ্জে হত্যার পর খাটের নিচে নারীর লাশ রেখে দেন যুবক, ৬ বছর পর সাজা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৫ মার্চ ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে হত্যার পর খাটের নিচে নারীর লাশ রেখে দিন পার করছিলেন এক যুবক। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লোমহর্ষক এ ঘটনার মামলার রায় হয়েছে ৬ বছর পর।

রায়ে আসামি হাবিবুর রহমান মিজিকে (৩৫) দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান টংগিবাড়ী উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টংগিবাড়ী উপজেলার লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিনের মেয়ে মৃত সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি (৩০) একজন অবিবাহিতা নারী। তার মানসিক সমস্যা রয়েছে। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।

৫ দিন পর লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামে দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। সেই সংবাদ দেখে সন্দেহের জেরে বাড়িটিতে ছুটে আসেন নিহত ডলির পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা ছবির সাথে মিলিয়ে মরদেহটি নিখোঁজ ডলির বলে চিহ্নিত করেন।

প্রথমদিকে আসামি হাবিবুর রহমান মরদেহটি পদ্মায় ভেঁসে আসায় সেটি ঘরের নিচে লুকিয়ে রেখেছেন বলে স্থানীয়দের জানান। একপর্যায়ে পুলিশ এসে হাবিবুরকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার দায় স্বীকার করেন হাবিবুর। আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি জানান, নারীকে হত্যার পর লাশ নিজের শয়নকক্ষের খাটের নিচে রেখে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় ২২ মার্চ নিহতের ভাই নূর মোহাম্মদ দপ্তরি (৬০) বাদী হয়ে টংগিবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি হাছান সারওয়ার্দী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৬ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে সাজা দেয়া হয়।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন বলেন, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

error: দুঃখিত!