মুন্সিগঞ্জ, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সুখবাসপুর এলাকায় আজ ভোর সকালে গ্যাস সিলিন্ডার গোডাউনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে লুকিয়ে রাখা আগুনে পোড়া গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এখনো গ্যাস বের হচ্ছে। যেকোন সময় সেখানে আবার দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনা আড়াল করতে গোডাউন কতৃপক্ষ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রথমে সেখানে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য গোপন ও বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে নিজস্ব অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন সাংবাদিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬সেপ্টেম্বর) ভোর ৪ টায় এই গ্যাসের গোডাউনটিতে আগুন লাগে। সেখানে প্রায় ২ হাজার গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল ছিলো। গোডাউনের পেছনে বাড়ি-ঘর ছিলো। আর সামনে কয়েকটি দোকান যেগুলো বন্ধ ছিলো।
‘গোডাউন কতৃপক্ষ প্রথমে আগুন লাগার ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করে। পরে আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।’
লোকালয়ে অবস্থিত জাহিদুল ট্রেডার্স নামের এই গ্যাস ব্যবসার লাইসেন্স স্থানীয় হারুন অর রশিদের নামে। তার অবর্তমানে ব্যবসা দেখাশোনা করেন তার ভাগিনা মুজাহিদ রহমান মুকিব।
তিনি ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘যে গোডাউনে আগুন লেগেছে সেখানে সব খালি গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো। আগুন লেগেছে গাড়ি থেকে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
গ্যাসের গোডাউনে অকেজো গাড়ি রাখতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন।
এদিকে গোডাউন কতৃপক্ষের এই দাবি প্রত্যাখান করে মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দাবি সেখানে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডারও ছিলো।
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবু বকর জামান বলছেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ধারনা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকেই এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের স্বীকার গ্যাসের গোডাউন ও একই মালিকের পাশের আরেকটি গোডাউনেও গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোনরকমের কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। ভেতরে শত শত গ্যাস সিলিন্ডার। এর মধ্যেই আবার বেশ কয়েকটি পুরোতন অকেজো গাড়ি ফেলে রাখা হয়েছে।
এসব বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা সকাল থেকেই সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিয়েছি। সেখানে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যেহেতু এটি একটি জননিরাপত্তা বিষয়ক বিষয় তাই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখছি।’