২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৮:১৯
মুন্সিগঞ্জে সাংবাদিকদের হেনস্থা, মেরে ফেলার হুমকি
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ নভেম্বর, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় রজতরেখা নদী দখল নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রথম আলো মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল হোসেন ও দৈনিক দেশের কণ্ঠ মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম কে শারিরীকভাবে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই সংবাদ কর্মীকে মেরে গুম করে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম লিটনের ছোট ভাই ইসমাঈল ব্যাপারি, ইসমাঈলের ছেলে ইসহাক ব্যাপারি এ ঘটনা ঘটায়।

ভুক্তবোগীরা জানান, ঐতিহ্যবাহী রজত রেখা নদীর উৎসমুখ ভরাট করে মুখ আটকিয়ে কয়েক বছর ধরে রমরমা বালুর ব্যাবসা করছিলেন ইসমাঈল ব্যাপারি। এতে নদীটি শুকিয়ে মরা খালে পরিনত হয়েছে।

এই সুযোগে ইসমাঈল, তার ভাই চেয়ারম্যান আবুল হাসেম লিটন, তাদের চাচাত ভাই শাহাদাত ব্যাপারিসহ অনেকেই নদীটির দুইপাশে দোকান- পাট, স্থাপনা করে দখল করে নিয়েছে।

নদীটির করুন অবস্থা ও দখলের চিত্র ফোনে ধারন করছিলেন সাংবাদিকরা। সে সময় ইসমাঈল ব্যাপারি তার ছেলে ইসহাক ব্যাপারি (১৯) কে ঘটনাস্থলে পাঠায।

ইসহাক প্রথম আলো মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল কে ধাক্কা মারে। হাতে ধরে মারার জন্য টেনে নিয়ে যায়। তাদের শ্রমিক কর্মচারীরাও সাংবাদিককে মারার জন্য লাঠিসোটা নেয়। মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আসলে ইসহাক পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ইসমাঈল ও তার ছেলে ইসহাকরা চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের প্রভাব খাটিয়ে মাদক, ভূমি দখল, অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে বিক্রি সহ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যক্রম করে আসছে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

error: দুঃখিত!