মুন্সিগঞ্জ, ২১ মার্চ, ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় রসুলপুর খাদ্য গুদাম থেকে রাতের আঁধারে আনুমানিক অন্তত ২৫০ টন চাল সরানোর অভিযোগে সৈয়দ শফিউল আজম নামে এক খাদ্য পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সরিয়ে ফেলা চালের বাজার মূল্য আনুমানিক কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রসুলপুর এলাকায় খাদ্য গুদামের ৪নং ভবনটি সিলগালা করেছে প্রশাসন। বাহির থেকে কোনো গাড়ি এবং খাদ্য গুদামের সাথে সংশ্লিষ্টদের খাদ্য গুদাম এলাকায় প্রবেশ করতে সাময়িকভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, ‘এই উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৯ মার্চ আমি রসুলপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যাই। এসময় ৪নং ভবন পরিদর্শনের সময় মজুদকৃত চালের পরিমাণ অনেক কম দেখতে পাই। মজুদকৃত চালের পরিমাণ ৪৩১ মেট্রিক টন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কম পাওয়া যায়। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হই এখান থেকে অধিকাংশ চালের বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ থেকে গুদামের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও নেই ‘
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি লিখিত আকারে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় এক খাদ্য পরিদর্শককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এতে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পুলিশ আটক করার আগে বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ শফিউল আজমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলবো না। আমার যা বলার আমি তা বলে দিয়েছি।’
জানা গেছে. অভিযুক্ত সৈয়দ শফিউল আজম ২০২২ সাল থেকে গজারিয়ায় কর্মরত। সে ঢাকার দারুস সালাম এলাকার বাসিন্দা।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, সদ্য যোগদান করা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লিখিত আকারে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। গুদামে মজুদকৃত চালের পরিমাণে বড় ধরনের গড়মমিল পাওয়া গেছে। গুদামের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ শফিউল আজমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন বলেন,
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।