২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ১:৪২
মুন্সিগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানো ব্যক্তির মৃত্যু
খবরটি শেয়ার করুন:

টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের ডুলিহাটা গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানো নাসিরের (৫৫) মৃত্যূ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পুলিশ দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে টঙ্গীবাড়ী থানা এসআই শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন। এর আগে গত ৮ই এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রায় ২শত জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নাসিরের বাড়িতে হামলা চালায়। ২ঘন্টা সময় ধরে চলে নাসিরের বাড়িতে সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলা।

সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ওই পরিবারের বসবাসকরা দুটি ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে। লুট করে নিয়ে যায় ঘরে থাকা টিভি ফ্রিজসহ মূল্যাবান সামগ্রী। এ সময় নাসির (৫৫) ও তার স্ত্রী হুসনে আরা (৪৫) এর উপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। নাসিরের ২ মেয়ে ইভা(১০) এবং ইমা (৮) এর উপরও চলে সন্ত্রাসীদের পাশবিক নির্যাতন। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নাসির ও তার স্ত্রী হুসনে আরাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে নাসিরের ২ মেয়ে ইভা ও ইমা মা-বাবার অনুপস্থিতিতে গাছের নিচে চলে দীর্ঘদিন তাদের বসবাস। পরে এলাকাবসীর সহয়তায় মাথা গোজার মতো ছোট একটি ঘর তুলে দেওয়া হয় তাদের।

অন্যদিকে আহত নাসিরের অবস্থার অবনতি হলে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে নাসির মঙ্গলবার ভোরে মারা যায়।

জানাগেছে, উপজেলার আড়িয়ল গ্রামের নাসির (৫০) এর সাথে তার চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদ গংদের দির্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

এ ঘটনার জের ধরে নুর মোহাম্মদ, নজু দেওয়ান, জরিপ সেখ, জুয়েল, দেলোয়ার সেখ, হাবিব, আলমগীর, আরাফাত, মন্টু, জামাল, কামাল গংদের নেতৃত্বে প্রায় ২শত জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নাসির এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের দুটি ঘর গুড়িয়ে দিয়ে আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে ও লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই সময় ইসমাঈলকে (৩৫) গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে।

টঙ্গীবাড়ী থানা এসআই অমিত হাসান জানান, আমি হামলার দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শত শত লোক নাসিরের বাড়িঘর ভাংচুর করছে। এ সময় আমি বাশি ফু দিলে তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা নাসিরের ঘড়বাড়ি সব ভাংচুর করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় নাসিরের স্ত্রী হুসনে আরা বাদী হয়ে ৮ই এপ্রিল টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের ময়নাতদন্ত রির্পোট স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র:জনকন্ঠ

error: দুঃখিত!