মুন্সিগঞ্জ, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সোনালী রংয়ের একটি লক্ষী মূর্তি সহ প্রতারণার শিকার দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয় মাওয়া নৌ পুলিশ ফাড়ি। পরে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির আই সি আবু তাহের মিয়া জানান, আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টা’র দিকে শিমুলিয়া ১ নং ফেরীঘাট থেকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ৬৩২ গ্রাম ওজনের একটি সোনালী রংয়ের স্টিলের মূর্তি সহ রাজিয়া সুলতান ও নুরজামান হাওলাদার নামে এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। তারা শরীয়তপুরের নড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
পরে পুলিশকে তারা জানান, সোনালী রংয়ের মূর্তিটি দিয়ে তারা প্রতারক চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছেন।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের বরাতে পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্র তাদের গত তিন দিন আগে রাতে ফোন দিয়ে জীনের বাদশা পরিচয় দেয়। পরে তারা বলে, মদিনায় দোয়া হবে, ওখানে তোমার জন্যও দোয়া করা হবে তুমি তিনটি জায়নামাজের হাদিয়া দিবা।
কথিত জীনের বাদশার কথার ফাদে পরে তারা ৩ টি জায়নামাজ কেনার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যেম ১৫০০ টাকা পাঠায়।
তার পর দিন কথিত জীনের বাদশা আবার ফোন দিয়ে বলে তোমাদের জন্য দোয়া করা হয়েছে তেমাদের দোয়া কবুল হইছে, তোমাদের দোয়া কবুলের কারনে তোমাদের জীনের বাদশা খুশি হয়ে মানিক রতন পাঠিয়েছে, প্রতারিতরা বলেছে কোথায় গেলে পাবো মানিক রতন, জীনের বাদশা বলে শিমুলিয়া ঘাটে আসলেই পাবা, ১ নং ফেরী ঘােটে একটি পরিত্যক্ত টায়ারের ভিতর থেকে ওনারা মুর্তি টি নেওয়ার সময় সাধারণ জনগনের সন্দেহ হলে তারা নৌ পুলিশকে জানালে নৌ পুলিশ মুর্তিটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত প্রতারকদের চিন্হিত বা আটক করা যায়নি বলে জানান, মাওয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির আই সি আবু তাহের মিয়া।