৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১:১৯
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে বেধম মারধর
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৪ মার্চ, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে পরকিয়া সন্দেহে ও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন এক মাদকাসক্ত স্বামী।

পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকালে ওই নির্যাতিত গৃহবধূ রজনি আক্তারকে নিয়ে তার বাবা, মা ও ফুফু মারধরের কারন জিজ্ঞাসা করতে স্বামীর বাড়ি গেলে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূ রজনী আক্তার (২৩), তার পিতা- শামসূল হক, মা- নারগিস বেগম ও ফুফু আলেয়া বেগমকেও পূনরায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

জানাগেছে, বিগত ৫ বছর আগে সদর উপজেলার খানকা দালাল পাড়া গ্রামের শামসূল হক এর মেয়ে রজনি আক্তার এর সাথে টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামের বুড়ির বাড়ি এলাকার মৃত কাদির মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলামের (২৫) বিয়ে হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

রজনির বাবা শামসূল হক জানান, বিয়ের পর জানতে পারি রজনির স্বামী মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সে বিভিন্ন সময় নেশা করার জন্য আমার মেয়েকে আমার বাড়ি হতে টাকা পয়সা নিয়ে দিতো বলতো। গত ২১ মার্চ বিকালে আমার মেয়ে আমার বাড়ি হতে বেড়ানো শেষে তার স্বামীর বাড়ি গেলে তার স্বামী আমার বাড়ি হতে টাকা এনেছে কিনা জানতে চায় । রজনি টাকা নেয়নি বললে নিজ ঘরে রজনিকে আটকে ব্যাপক মারধর করে স্বামী দ্বীন ইসলাম।

রজনি জানান, আমাকে কাঠের দাসা দিয়ে পিটিয়ে প্রথমে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আমার দু-হাত বাঁধে। আমার গলার ওড়না পেঁচিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেস্টা করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী আমার বাবাকে খবর দিলে তিনি এসে প্রথমে আমাকে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে বাবা আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দ্বীন ইসলামকে আসামী করে টংগিবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা সামছুল হক। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দ্বীন ইসলাম। পরে আজ মঙ্গলবার রজনিকে মারার কারন জানতে দ্বীন ইসলামের বাড়িতে গেলে দ্বীন ইসলাম (২৫), আল আ‌মিন (৩০), আসলাম (২৯) সহ ১০/১২ জন রজনী আক্তার (২৩), তার পিতা- শামসূল হক, মা- নারগিস বেগম ও ফুফু আলেয়া বেগমকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী থানার ওসি হারুন আর রশিদ  জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!