মুন্সিগঞ্জ, ১৭ আগস্ট ২০২৩, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের বাংলাবাজারে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা মারধর-পিটুনির শিকার হয়েছেন ৩ জেলে। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আহতদের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
আহতরা হলেন, ৩ সহোদর ভাই জেলে নূরে আলম (২২), মো: শাহীন সিকদার (২৪) ও মো: আরিফ সিকদার (২৬)। তারা চর বাংলাবাজার এলাকার সোলেমান সিকদারের পুত্র।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গেল বুধবার (১৬ আগষ্ট) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চর বানিয়ালের কাইজারচর পদ্মা নদীতে মাছ শিকারের সময় প্রতিপক্ষ ইয়ারসুল, জানসো সরদার, সবুজ মাঝি, কবির মাঝি, দাদন মাঝি, রাসেল মাঝি ও ফয়সাল মাঝিসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসীরা গ্রুপ পৃর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ৩ জেলেকে আহত করে।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মো: শাহীন সিকদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দুইজন জেলে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর উল্টো তাদের প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো: খোরশেদ আলম জানান, ওরা ৩ ভাই। এদিন তারা মাছ শিকারের জন্য পদ্মা নদীতে গেলে সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে ৩ ভাইকে মারতে মারতে মাঝ নদীতে নিয়ে যায়।তাদের ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে নদীতে ফেলে দেয়। এসময় মাছ ধরার নৌকাটিও পানিতে ডুবিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে আমরা কয়েকজন মিলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
আহত ৩ জেলের বাবা মো. সোলেমান সিকদার বলেন, আমরা গরীব মানুষ। নদীতে মাছ শিকার করে জীবন যাপন করি। আমার ছেলেদের সাথে কারও শত্রুতা নেই। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর লিটু গাজী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।